চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে। এ সময় নতুন ১৮৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১১ শতাংশ। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত দু’জন মারা যান।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিসহ নগরীর নয়টি ল্যাবে চট্টগ্রাম জেলার ১ হাজার ৭০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ১৮৭ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৪০ জন এবং তেরো উপজেলার ৭৩ জন। ফলে জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯৮ হাজার ৭২৪ জনে। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭১ হাজার ৮৬৯ জন ও গ্রামের ২৬ হাজার ৮৫৫ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৭৩ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ লোহাগাড়ায় ১৯ জন, রাউজান ও হাটহাজারীতে ১৩ জন করে, সাতকানিয়ায় ৮ জন, সীতাকু- ও মিরসরাইয়ে ৫ জন করে, ফটিকছড়ি, বাঁশখালী ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, সন্দ্বীপ, বোয়ালখালী ও আনোয়ারায় একজন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় গ্রামের দুই জনের মৃত্যু হয়। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২১১ জন। এর মধ্যে ৬৮২ জন শহরের ও ৫২৯ জন গ্রামের। করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন ৬৭৯ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৬১৮ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৬৭৩ জন ও ঘরে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫৯ হাজার ৯৪৫ জন। হোম আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ২৫৫ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৩৮৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২ হাজার ৯৫৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে শহরের ৪১ ও গ্রামের ৪০ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৮৪ জনের নমুনায় শহরের ১৮ ও গ্রামের ১৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১১৬ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১২ ও গ্রামের ১১ টিতে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৫১৭ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১১ ও গ্রামের ২ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫৮ নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ১৬ টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ নমুনায় গ্রামের একটিসহ ৬ টি, মেডিকেল সেন্টারে ১৩ নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ২ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৮৩ নমুনার মধ্যে গ্রামের ৩ টিসহ ১৩ টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে।
এদিন চট্টগ্রামের ৯২ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ২ জন ছাড়া অবশিষ্ট ৯০ জন নেগেটিভ প্রমাণিত হন।
তবে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরি (আরটিআরএল) এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ, সিভাসু’তে ১৬ দশমিক ৮৬, চবি’তে ১৯ দশমিক ৮৩, শেভরনে ২ দশমিক ৫১, ইম্পেরিয়ালে ২৭ দশমিক ৫৮, মা ও শিশুতে ৩০ শতাংশ, মেডিকেল সেন্টারে ১৫ দশমিক ৩৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৫ দশমিক ৮৫ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ।