চট্টগ্রামে ২ জন করোনায় আক্রান্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শহরে ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে জেলার আওতাধীন ১৫ উপজেলায় একজন জীবাণুবাহকও পাওয়া যায়নি। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ১১ শতাংশ। এ সময়ে কোনো করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।

চট্টগ্রাম মহানগর ও ১৫ উপজেলায় করোনার সংক্রমণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭শ’ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ২ জন শনাক্ত হন। এ দু’জনই নগরীর বাসিন্দা। জেলায় করোনায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ৪৭৮ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ১৫৪ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩২৪ জন। গতকাল শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে। এখানে ৫০৪টি নমুনা পরীক্ষায় একটিতেও ভাইরাসের প্রমাণ মিলেনি। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪০৪টি নমুনার মধ্যে একটিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজন পজিটিভ শনাক্ত হন।

এ দিকে, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৭, নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৫৭, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৯৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৮৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়। চট্টগ্রামের ৬টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। সাত ল্যাবে ৭৮৫ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়।

এ দিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ২৪ ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, আরটিআরএল, শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।