চট্টগ্রাম ওয়াসায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরন, বকেয়া বিল আদায় ও লাইসেন্সবিহীন নলকূপ ব্যবহার রোধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে প্রায় দেড়কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।

চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন নাহারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে রাজস্ব আদায় এবং অবৈধ পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন নাহার জানান, ছয় মাসে মোট ১৫০টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ১ কোটি ৪৬ লাখ ৩১ হাজার ১৩২ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

জানুয়ারিতে ২৬টি অবৈধ পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৪ টাকা আদায়, ফেব্রুয়ারিতে ২১টি পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২৪ লাখ ১১ হাজার ১৫৬ টাকা আদায়, মার্চে ২৬টি পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২৩ লাখ ২১ হাজার ৭১২ টাকা আদায়, এপ্রিলে ২৫টি পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৩৫ টাকা আদায়, মে মাসে ২৮ টি পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২৪ লাখ ১১ হাজার ৬৬১ টাকা আদায় এবং জুন মাসে ২৪ টি পানির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২৪ লাখ ১২ হাজার ৯৭৪ টাকা বকেয়া আদায় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে লাইসেন্সবিহীন নলকূপগুলোকে লাইসেন্সের আওতায় আনা হচ্ছে। এতে ওয়াসার আয় বাড়বে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে পানি চুরি বন্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের আইনের আওতায় এনে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

ওয়াসা’র বাণিজ্যিক শাখার তথ্যমতে, আবাসিক-অনাবাসিক গ্রাহকদের কাছে বর্তমানে প্রায় ৮১ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। তৎমধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক গ্রাহকের কাছে ৬০ কোটি টাকা বলে জানা যায়।

চট্টগ্রাম ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) গোলাম হোসেন বলেন, ‘বকেয়া আদায়ে ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান জোরদার করা হয়েছে।পাশাপাশি বকেয়া বিল পরিশোধে গ্রাহকদের চুড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান