চট্টগ্রাম শহরে করোনায় নতুন আক্রান্ত নেই পটিয়ায় ১ জন

আরটিপিসিআর টেস্টে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম শহরে করোনাভাইরাসের নতুন বাহক না মিললেও পটিয়া উপজেলায় একজন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজ দেয়া সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাবে ৫২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ব্যক্তি পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা এছাড়া, অবশিষ্ট ১৪ উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে আর কোনো নতুন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়নি। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৬০৬ জন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৭৬ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৩০ জন। শনিবার করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, শনিবার শনাক্ত চট্টগ্রামের একমাত্র করোনা পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হন মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে। এখানে ৩৭ নমুনায় পটিয়া উপজেলার এক বাসিন্দার নমুনায় ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। দিনের সবচেয়ে বেশি ২৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এখানে একজন সংক্রমিতও মিলেনি।

এছাড়া, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৯, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ২৬, বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৫, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৪৯, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৩, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৩২ এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৭ টি নমুনা পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়। আট ল্যাবে পরীক্ষিত ২২৭ নমুনার একটিতেও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।

এদিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে কারো এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা যায়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), আরটিআরএল, শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ০ শতাংশ। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান