চতুর্থ ধাপের ২য় পর্যায়ে ভাসানচরে আরও ১ হাজার ৯ জন রোহিঙ্গা

চতুর্থ ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও এক হাজার ৯ জন রোহিঙ্গা আজ দুপুর ২ টায় নৌবাহিনীর ৩ টি জাহাজে করে ভাসানচরে পৌঁছেছে।
এসময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন নৌ বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এর আগে, সকাল ১০ টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নৌবাহিনীর রেডি রেসপন্স বার্থ থেকে ৩ টি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সোমবার সড়ক পথে তারা চট্রগ্রাম এসে পৌঁছায়। রাতে তাদের বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম বলেন, ১ হাজার ৯ জন রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়ী যোগে ওয়্যার হাউজ এ সমবেত করে ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়ম কানুন সর্ম্পকে ব্রিফ করা হয়। পরে, তাদের ভাসানচরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুর ২ টায় চতুর্থ দফার প্রথম ধাপে দুই হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা এসে পৌঁছে। তাদের মধ্যে ৫৭৭ জন পুরুষ, ৪৮৫ জন নারী ও ৯৪৮ জন শিশু ছিলো।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ক্লাষ্টারে তাদেরকে রাখা হয়। প্রথমধাপে ভাষানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬৮জন, নারী ৪৬৪জন ও শিশু ৮১০ জন।
গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে আরও ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়। গত বছর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জল সীমায় ভাসতে থাকা দুই ধাপে ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরে বোটে ভাসমান অবস্থা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা দলটিতে ৯২ জন পুরুষ, ১৫৭ জন নারী ও ২৮ জন শিশু ছিল।
গত ২৯ জানুয়ারী তৃতীয় ধাপের প্রথম পর্যায়ে পৌঁছায় এক হাজার ৭৭৬ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে পুরুষ ৪০৪ জন, মহিলা ৫১০ জন ও ৮৬২ জন শিশু রয়েছে। পরের দিন ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১ হাজার ৪৬৭ জন রোহিঙ্গা এসে পৌঁছায়। এদের মধ্যে পুরুষ ৩৪৭ জন, মহিলা ৪০৫ জন ও ৭১৫ জন শিশু ছিল।
এর আগে, ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়। ২০১৯ ইং সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজ। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ন প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। এতে প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গার আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।