চলতি মাসেই থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানির চুক্তি

থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানির জন্য নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। চলতি আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই চুক্তি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে নতুন করে চাল আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর জন্যই থাইল্যান্ডের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

খাদ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দুই দেশের সরকারের মধ্যে (জি টু জি) বাণিজ্যচুক্তির আওতায় এই চাল আমদানি করা হবে। এই লক্ষ্যে আগস্ট মাসের বৈঠক করবে চতুর্থ বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড যৌথ বাণিজ্য কমিটির সদস্যরা।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানির বিষয়ে যে চুক্তি করা হবে- তার খসড়া ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এই চুক্তির আওতায় কী পরিমাণ চাল আমদানি করা হবে- তা এখনও জানায়নি খাদ্য মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট ডটকমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশে ২ লাখ টন চাল রপ্তানি করবে থাইল্যান্ড।

থাইল্যান্ডের চাল রপ্তানিকারকদের সংগঠনের বরাত দিয়ে এতে আরও বলা হয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে দুইটি ভিন্ন মানের চাল কিনতে চায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে ‘৫ শতাংশ সাদা চালের’ প্রতি টনের জন্য ব্যয় করতে হবে ৪১০ ডলার। আর ‘শতভাগ সাদা চালের’ প্রতি টনের জন্য ব্যয় করতে হবে ৪৩৯ ডলার।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলে অকাল বন্যায় ফসলের ক্ষতি এবং সরকারি গুদামের মজুদ কমে আসার প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ভিয়েতনাম থেকে ৯০৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় আড়াই লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গত ১৪ জুন দরপত্র ছাড়াই সরকারি পর্যায়ে এই চাল আমদানির অনুমতি দেয়।

এর মধ্যে গত ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার প্রথম চালানে ২০ হাজার টন চাল নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। গত ১৭ জুলাইয়ে ২৭ হাজার টন চাল নিয়ে একটি জাহাজ এবং গত ২২ জুলাই তৃতীয় চালানের চাল বাংলাদেশে পৌঁছায়।

আজকের বাজার: এলকে/এলকে ১ আগষ্ট ২০১৭