চামড়া খাতের উন্নয়নে প্রয়োজন নগদ ভর্তুকি, ঋণ সুবিধা চান চামড়া ব্যবসায়িরা

বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানি ঈদেই সবচেয়ে বেশি চামড়া সংগ্রহ করা হয়। অল্প সময়ে অনেক চামড়া কিনতেদরকার হয় বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ। এজন্য পর্যাপ্ত ব্যাংক ঋণের দাবি জানিয়েছে ট্যানার্স এসোসিয়েশন। আর ব্যাংকগুলো বলছে, অর্থ পরিশোধের রেকর্ড মূল্যায়নের ভিত্তিতেই দেয়া হবে ঋণ। অর্থনীতিবিদরাও মনে করেন, চামড়া খাতের উন্নয়নে নগদ ভর্তুকি দেয়া প্রয়োজন।

সারা বছরের সংগ্রহ করা চামড়ার ৬০ শতাংশই আসে কোরবানির মৌসুমে। এ সময়ে তিন দিনের মধ্যে জবাই হয় প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ পশু। এত পরিমাণ পশুর চামড়া মাত্র ৫ দিনের মধ্যে সংগ্রহ ও লবণজাত করায় নগদ অর্থের প্রয়োজন হয় বিশেষ করে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের। কিন্তু ট্যানারি মালিকদের কাছে পুরনো বছরের টাকা বকেয়া থাকায় অর্থ সংকটে রয়েছেন এসব ব্যবসায়ীরা। এজন্য বকেয়া পাওনা পরিশোধ ও প্রতিবছর কমপক্ষে দেড়’শ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের দাবি তাদের।বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেজারার মিজানুর রহমান বলেন, ব্যাংকগুলো আমাদের লোন বৃদ্ধি করলে আমরা ব্যবসায় কিছুটা সুবিধা করে নিতে পারবো।

চলতি বছর ট্যানারি মালিকদের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারে প্রায় ৮’শ কোটি টাকা। চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হওয়া ও রপ্তানি লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় এবার ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি ট্যানার্স এসোসিয়েশনের। তবে যাচাই-বাছাই করেই ঋণ দেয়া হবে বলে জানান ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।

 

 

আজকের বাজার/মিথিলা