চীনা প্রস্তাবের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কাছে শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়ামের কৌশলগত বিনিয়োগ প্রস্তাবের বিভিন্ন খুঁটিনাটি সম্পর্কে ব্যাখ্যা চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) টেকনিক্যাল কমিটি। নিয়ন্ত্রকদের প্রশ্নসংবলিত একটি পত্র গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে। আগামী ৪ মার্চের মধ্যে ডিএসইর ব্যাখ্যার পর কমিটি কমিশনে নিজেদের পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমা দেবে।

কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরো প্রস্তাবটি বিচার-বিশ্লেষণ করার জন্য এর বিভিন্ন অংশে আরো বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন। এজন্য স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন প্রশ্নের বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ৪ মার্চের মধ্যে তাদের উত্তর পেয়ে গেলে কমিটি প্রস্তাবের আইনি দিকগুলো বিবেচনা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিশনে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে। প্রশ্নগুলো সম্পর্কে তারা কিছু জানাতে রাজি হননি।

তবে বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ডিএসইর কাছে চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবের অন্তত এক ডজন পয়েন্টের বিস্তারিত জানতে চেয়েছে কমিশন। এর মধ্যে টেকনিক্যাল সাপোর্টের ভ্যালুয়েশনের ভিত্তি, শেয়ার ক্রয়ের শর্তাবলি, নতুন কৌশলগত বিনিয়োগকারীর অন্তর্ভুক্তি, অংশীদারিত্ব-পরবর্তী পর্ষদে দুপক্ষের অবস্থান ও এখতিয়ার, নতুন বিনিয়োগ, চুক্তি সম্পাদন, পরিচালন কর্মকাণ্ডসহ অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে চুক্তি ‘কোন দেশের আইনে হবে?’ এবং ‘ভবিষ্যতে অংশীদারদের মধ্যে উদ্ভূত বিবাদের মীমাংসা কোন আদালতে হবে?’

জানা গেছে, কৌশলগত এ বিনিয়োগে ভবিষ্যতে কোনো বিবাদ দেখা দিলে তার সমাধান লন্ডনের কোর্ট অব ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশনে হতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে চীনা কনসোর্টিয়াম। এ শর্ত বাংলাদেশের আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা— বিএসইসির কমিটি ডিএসইর কাছে তা জানতে চেয়েছে।

 

এমআর/ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮