ছেলেদের সাজ

সাজ সজ্জা বলতে আমরা মেয়েদের সাজ সজ্জাই বুঝি। তবে বাঙালী বলে কথা। পিছিয়ে নেই ছেলেরাও। বাঙালি উৎসবে ছেলেদের পোশাক মানেই পাঞ্জাবী-পাজামা। তবে সৌন্দর্যের বৈচিত্রতা ফুটে ওঠে রঙে রঙে। বর্ষবরণ, বসন্ত মানেই রঙের ছড়াছড়ি। হলুদ আর বাসন্তীর পাশাপাশি লাল, বেগুনী, সবুজ, সাদা, ডোরাকাটা নানা রংসহ বাহারী রঙের পাঞ্জাবী। পাঞ্জাবীর সঙ্গে মিল রেখেই পাজামার রং। সেই সঙ্গে চটি জুতা, চামড়ার জুতা, কনভার্স, অথবা নাগড়াই জুতা।

কেউ কেউ কাপড়ের সঙ্গে মিল রেখে হাতে ব্রেসলেট, চোখে চশমা এবং গলায় মালাও পরে। বসন্তের নানা ফুল যেমন- কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, শিমুল ইত্যাদি রঙের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে পাঞ্জাবীর রং হয়। নীল, হালকা বেগুনী অথবা বাদামি রঙের শর্ট পাঞ্জাবীর ওপর রঙের মিল রেখে ছোট কটিতেও কিন্তু ভালোই মানায়। লম্বা চুল যাদের তারা চাইলেই চুল ওপরের দিকে ঝুটি বেঁধে নিতে পারেন। ছোট দানার যেকোনো মালা বা তাগার সঙ্গে বেশ ভালো লাগবে।

সাদার মধ্যে কারুকাজ করা লং পাঞ্জাবীর সঙ্গে ছোট স্পাইক করা চুল, সেইসঙ্গে কালো চশমা পরলে অনেক স্মার্ট দেখায়। কোঁকড়ানো চুলের সঙ্গে শর্ট পাঞ্জাবী, জিন্স অথবা গাভার্ডিন প্যান্ট আর হাতে ঘড়ি পরলে চমৎকার দেখায়। পাঞ্জাবীর সঙ্গে ময়ূরপঙ্কী ধূতি আর কাঁধে উত্তরীয় ঝুলিয়েও ফ্যশনে বৈচিত্র আনা যায়।

পাঞ্জাবী ছাড়াও অনেকেই ফতুয়া পরে। আবীর, কমলা, জলপাই, অথবা সাদার মধ্যে কারুকাজ করা ফতুয়াতে ছেলেদের খুব সুন্দর মানায় বসন্তের এই প্রথম দিনটিতে। ফতুয়ার সঙ্গে মাথায় ও কাঁধে গামছা পরলেও বেশ মানায়। কেউ কেউ আবার রঙিন টি-শার্ট কিংবা রঙিন জামাও পরে। তবে এেেত্র লাল, হলুদ, বাদামী অথবা বাসন্তীর হালকা কিংবা মাঝামাঝি কোন রঙের লং শার্ট বা কলারওয়ালা টি-শার্ট হলে ভালো মানাবে। নাগড়াই জুতা পড়লে অবশ্যই লং পাঞ্জাবী আর ধূতি-পাজামা পড়তে হবে। বর্ষবরণে রঙে রঙে মেতে ওঠে ছেলেদের নানা রঙের পাঞ্জাবী, শার্ট ও ফতুয়ার রং। বসন্তের প্রথম দিন রঙে ফুলে একাকার হয় বাংলার ঐতিয্যে।

আজকেরবাজার: আরআর/২৩.০৪.২০১৭