জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসমূহের অবকাঠামো ডিজাইনে ভুল থাকলে সংশোধন করতে হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া প্রকল্পসমূহের অবকাঠামোর ডিজাইনে ভুল থাকলে প্রয়োজনে সে ডিজাইন সংশোধন করতে হবে।

তিনি বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি এবং সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান করা হবে।

মো. তাজুল ইসলাম আজ সচিবালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানি নিষ্কাশন উন্নয়ন’ শীর্ষক এক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় এ কথা বলেন।

মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসমূহের অবকাঠামোর ডিজাইনে কোন ভুল থাকলে তা সংশোধন করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানি নিষ্কাশনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, এছাড়াও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগেও প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের অধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে যে নকশা করা হয়েছে সেগুলো পুনঃবিবেচনা করতে হবে।

সমস্যা সমাধানে চলমান প্রকল্পের পাশাপাশি প্রয়োজনে নতুন প্রকল্প নেয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার মাস্টার প্ল্যান এবং জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসমূহের অবকাঠামোর ডিজাইনে কোন ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে হবে। এছাড়াও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে ডিজাইনে ওয়াটার পন্ড নির্মাণ ও স্থান নির্বাচনের বিষয়ে যৌথ পর্যালোচনারও পরামর্শ দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অবকাঠামোসমূহের নির্মাণকাজ বাস্তবসম্মত ও টেকসই হতে হবে এবং চট্টগ্রামবাসী যাতে প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদী সুফল ভোগ করতে পারে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। এব্যাপারে কোন গাফিলতি মেনে নেয়া হবে না। এমন কোন কাজ করা যাবে না যার জন্য পরবর্তীতে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমরা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর এবং স্বেচ্ছাসেবীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তাই জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকা সহ সকল সব ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু মানুষ যদি অসচেতন হয়, তাহলে ডেঙ্গু মোকাবেলা করা কঠিন হবে।

সারা বিশ্বে প্রতিবছর এক মিলিয়নের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই গ্রামের বাড়ি যাওয়ায় বাসা বাড়িতে পানি জমে থাকা এডিস মশা বৃদ্ধির একটি বড় কারণ। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু কাম্য নয়। এসব অস্বাভাবিক মৃত্যু আমাদেরকে ব্যথিত করে। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান