জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ভারতের যশোদা হাসপাতালের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ভারতের হায়দ্রাবাদের যশোদা হাসপাতালের মধ্যে আজ এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান এবং যশোদা হাসপাতালের পক্ষে বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শাহিনুর রহমান সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, ক্লাবের আন্তর্জাতিক লিঁয়াজো উপ-কমিটির আহ্বায়ক আইয়ুব ভূঁইয়া, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা এবং আন্তর্জাতিক লিঁয়াজো উপ-কমিটির সদস্য দীপক কুমার আচার্য্য উপস্থিত ছিলেন। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে এখন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবার নির্দিষ্ট ডিসকাউন্টে যশোদা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসাসেবা পাবেন। এছাড়া যশোদা হাসপাতাল প্রেস ক্লাবের সদস্যদের হায়দ্রাবাদ এয়ারপোর্ট থেকে বিনামূল্যে পিকআপ এবং ড্রপের ব্যবস্থা করবেন। পাশাপাশি ভিসা এক্সটেনশন, হোটেল ভাড়া এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্টের ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন।

যশোদা হাসপাতালের কান্ট্রি ম্যানেজার শাহিনুর রহমান সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, ঢাকা থেকে হায়দ্রাবাদ সরাসরি ফ্লাইট চালু হওয়ায় বিশ্বমানের চিকিৎসা পাওয়া বাংলাদেশের রোগীদের জন্যে সহজ হয়ে গেছে। এতদিন যারা ভারতের অন্যান্য শহরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন, তাদের জন্য আধুনিক সব রকম চিকিৎসা পাওয়া সহজলভ্য হয়েছে।

তিনি বলেন, যশোদা হাসপাতাল হচ্ছে ভারতে আধুনিক চিকিৎসার প্রবর্তক। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ২৪০০ বেডের এই হাসপাতালটি নিরন্তর আধুনিক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে হায়দ্রাবাদে যশোদা হাসপাতালের তিনটি ইউনিট চালু আছে। এগুলো সমাজিগুড়া, সিকান্দ্রাবাদ এবং মালাকপেটে অবস্থিত। আগামী জুনে হাইটেক সিটিতে সর্বাধুনিক সুবিধাসহ ২ হাজার বেডের আরেকটি ইউনিট চালু হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় এটি হবে সবচেয়ে বড় প্রাইভেট এবং আধুনিক হাসপাতাল।

শাহিনুর রহমান বলেন, জটিল রোগের চিকিৎসায় গিয়ে আপনি কখনই অসহায় বোধ করবেন না। প্রাথমিক পর্যায়ে বিনা অপারেশনে ব্রেইন ও স্পাইন টিউমার অপসারণ, ব্রেইন টিউমার সার্জারিতে ইন্ট্রা-অপারেটিভ গজও ব্যবহার যা টিউমার আর ফিরে না আসার নিশ্চয়তা দেয়। বক্ষব্যাধির সকল প্রকার চিকিৎসায় যশোধা হাসপাতাল ভারতে সেরা। সকল প্রকার ক্যান্সার চিকিৎসায় অন্যতম সেরাদের একটি। এ ছাড়াও কার্ডিওলজি, ইউরোলজি, নিউরোলজি, কিডনি, গাইনোকোলজি ও লিভার চিকিৎসায় বিখ্যাত।

কান্ট্রি ম্যানেজার বলেন, ফুসফুস, হার্ট, কিডনি, বোনম্যারো এবং লিভার ট্রান্সপ্লান্টে যশোধা হাসপাতাল পরপর ৩ বছর ভারতের সেরা পুরস্কার অর্জন করেছে। অর্থোপেডিক চিকিৎসায় (হিপ, হাটু জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্টসহ) যশোদা হাসপতাল ভারতে বিখ্যাত। চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোবটিক সার্জারী, ব্রংকিয়াল থার্মোপ্লাষ্টি, ক্যান্সার চিকিৎসা ট্রিপল এফ রেডিও সার্জারী, র‌্যাপিড-আর্ক রেডিও থেরাপী, ক্যান্সার নির্ণয়ে 4D PET CT SCAN (যা ক্যান্সার নিণয়ে নিখুত এবং ভবিষ্যত গতিবিধি প্রকাশ করে)।

এই শহরেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্লিমসিটি (রামোজি ফ্লিম সিটি)। ভোজন রসিকদের জন্যে রয়েছে বিশ্বখ্যাত প্যারাডাইসের বিরিয়ানী।

এই হাসপাতালের প্রতিটি ইউনিটি বাংলাদেশি রোগীদের ভাষাগত সমস্যা দূরীকরণে আপনি সর্বক্ষণ একজন বাঙালি সহায়তাকারী পাবেন। ভারতের অন্য যে কোনো হাসপাতালের চেয়ে অনেক কম সময়ে আধুনিক চিকিৎসা আপনি শেষে দেশে ফিরে আসতে পারবেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান