জাপানে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ২ জনের মৃত্যুর আশংকা, নিখোঁজ ১৩

জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শনিবার ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে দু’জনের মৃত্যুর আশংকা করা হচ্ছে এবং নিখোঁজ রয়েছে ১৩ জন । এদিকে কর্তৃপক্ষ সেখানে এ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ৭৬ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ জারি করেছে। খবর এএফপির।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা কিউশু দ্বীপের কুমামোতো ও কাগোশিমায় সর্বোচ্চ জরুরি পর্যায় থেকে এক ধাপ নামিয়ে অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে স্থানীয় জনগণকে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যাবে উদ্ধার অভিযানে তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েনের জন্য ১০ হাজার সৈন্যকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সর্বোচ্চটা করবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আঞ্চলিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নাওসাকা মিয়াহারা জানান, কুমামোতোতে ভূমিধসে ‘কার্ডিয়ো রেসপাইরেটরি অ্যারেস্টে’ দু’জনের মৃত্যুর আশংকা করা হচ্ছে এবং সেখানে একজন নিখোঁজ রয়েছে। জাপানে চিকিৎসকের দেয়া মৃত্যু সনদ ছাড়া সাধারনত: কাউকে মৃত বলা যায় না। ফলে দেশটিতে মৃতের ক্ষেত্রে এ ধরনের টার্ম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
মিয়াহারা এএফপি’কে বলেন, ‘সকালের দিকে ১৩ জন নিখোঁজ থাকার কথা বলা হলেও সেখানে পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যার পরিবর্তন হচ্ছে।’
সরকারি সম্প্রচার কেন্দ্র এনইচকে জানায়, বন্যা ও ভূমিধসে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় প্রায় একশ’ লোক আটকা পড়ে।
টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজে প্লাবিত একটি নদীর কাছের কার পার্কিংয়ে অনেক গাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়া অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। বন্যায় অনেক সেতুওভেসে গেছে।
কিয়োদো নিউজ জানায়, কুমামোতো ও কাগোশিমায় প্রায় ৭৬ হাজার বাসিন্দাকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ অঞ্চলের কিছু ট্রেন সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ৮ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ির বিদ্যুত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।