জার্মানিতে ফুটবল শুরু ১৫ মে

আগামী ১২জুন থেকে প্রিমিয়র ডিভিশিন ফুটবল লিগ শুরু করার কথা তুরস্ক ঘোষণা করেছিল আগেই। এবার ফুটবল অনুরাগীদের জন্য আরও বড় সুখবর শোনাল জার্মানি। করোনা ভীতি দূরে সরিয়ে প্রায় দু’মাস পর জার্মানিতে ফিরছে ফুটবল। ইউরোপের মেজর ফুটবল লিগগুলোর মধ্যে বুন্দেসলিগাকে দিয়েই ঢাকে কাঠি পড়ছে করোনা পরবর্তী ফুটবলে।

দেড় লক্ষেরও বেশি আক্রান্ত এবং প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মানুষের মৃত্যুর পরেও দেশে ফুটবল ফেরাতে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিল হিটলারের দেশ। লকডাউনে শিথিলতা জারি হওয়ায় সেদেশের সরকার জানিয়েছিল খুব শীঘ্রই দেশে ফিরতে চলেছে ফুটবল। দেশের ফুটবল সংস্থাকে মে’র মাঝামাঝি প্রিমিয়র ডিভিশন লিগ শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়। সেই অনুমতি মোতাবেক বুন্দেসলিগা পুনরায় চালুর নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করল জার্মান ফুটবল লিগ।

দুই প্রতিবেশী দেশ নেদারল্যান্ড এবং ফ্রান্স যখন ঝুঁকি এড়িয়ে মাঝপথেই লিগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন ১৫মে থেকে ফের শুরু হচ্ছে বুন্দেসলিগা। তবে ম্যাচগুলি অবশ্যই ক্লোজ-ডোর অনুষ্ঠিত হবে। বায়ার্ন মিউনিখ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড সহ বুন্দেসলিগার অন্যান্য ক্লাবগুলি দলের ফুটবলারদের কার্যত নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছে। তাই ফুটবলারদের কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছেন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল।

বাভারিয়া প্রদেশের প্রেসিডেন্ট মার্কাস সোদারের কথায়, আমরা জানি সরকার কর্তৃক গৃহীত এই সিদ্ধান্ত কতটা বিতর্কিত। তবু আমরা সাদরে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি। তাঁর কথায়, ‘ক্লাবগুলোর প্রতি আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে যে তারা সমস্ত নিয়মানুবর্তিতা মেনেই সবকিছু করবে। ফুটবলারদের কাছেও অনুরোধ তারা যেন অবশ্যই নিয়মের মধ্যে থেকে সবকিছু করেন।’

উল্লেখ্য, দু-একটি ক্লাব ছাড়া অধিকাংশ ক্লাবগুলোরই ন’টি করে ম্যাচ বাকি রয়েছে লিগে। বৃহস্পতিবার লিগের বাকি ম্যাচগুলোর জন্য ফ্র্যাঙ্কফুর্টে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকা হয়েছে বুন্দেসলিগা জেনারেল অ্যাসেম্বলির। সবমিলিয়ে ফুটবল ফিরতে চললেও গোটা বিষয়টিকে রীতিমতো আতস কাঁচের নীচে রাখা হয়েছে। কারণ সম্প্রতি জার্মানির প্রিমিয়র ডিভিশন এবং দ্বিতীয় ডিভিশনের মোট ৩৬টি ক্লাবের ফুটবলার এবং কোচিং স্টাফেদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। ১৭০০ পরীক্ষার মধ্যে ১০ জনকে করোনা আক্রান্ত বলে চিহ্নিত করা হয়।