জয়পুরহাটে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ১১৪

জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১৪ জনে।
আজ সকালে সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো নমুনা থেকে ৫৫৩ টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আজ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ২৮ জনের রিপোর্ট পজেটিভ বলে জানানো হয়।

নতুন আক্রান্ত ২৮ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ জন, কালাইতে একজন, ক্ষেতলালে ৯ জন, পাঁচবিবিতে ২ জন ও আক্কেলপুরে ১০ জন। করোনা যুদ্ধে জয়লাভ করায় আজকেও ৪ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা মুক্ত হলো ৩৩ জন।

জেলা প্রশাসকের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, গত ১৬ এপ্রিল জয়পুরহাটে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে জেলা প্রশাসনের ঘোষিত লকডাউন চলছে। এরপর ১৬ এপ্রিল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৮৬ জন। আজ সোমবার একদিনে নতুন করে ২৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় জেলায় মোট করোনা রোগী দাঁড়ালো ১১৪ জনে।

উপজেলা ভিত্তিক করোনা শনাক্ত রোগীর মধ্যে রয়েছে কালাই উপজেলায় ৪৫, পাঁচবিবিতে ১৩, আক্কেলপুরে ২১, ক্ষেতলালে ১৩ জন ও সদর উপজেলায় ২২ জন।
জেলায় বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৭৩০ জন। এরমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে ১ হাজার ৫৬৪, প্রাতিষ্ঠানিকে ১১০ ও আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৬ জন।
কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ায় জেলায় এ পর্যন্ত মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে ১ হাজার ৭৯৬ জনকে।

আক্কেলপুর উপজেলার গোপিনাথপুর হেলথ এন্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের বর্তমানে শারীরিক অবস্থা ভাল বলে জানান, সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা।

অপরদিকে, জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জেলা পুলিশের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেছেন। পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির সভাপতিত্ব করেন। করোনা মোকাবেলায় পুলিশ সদস্যদের সন্মুখের যোদ্ধা হিসাবে উল্লেখ করে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, করোনা যোদ্ধা হিসাবে এদেশের জনগণের পাশাপাশি বর্তমান সরকারও পুলিশ বাহিনীকে বিশেষভাবে স্মরণ রাখবে এবং মূল্যায়ন করবে। পাঁচ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তরা সভায় যোগদান করেন।