ঝুঁকিপূর্ণ খুলনা রেলের কোয়ার্টার, ভাড়ায় থাকেন বহিরাগতরা

খুলনা রেলের স্টাফ কোয়ার্টারগুলো দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় অধিকাংশ কোয়ার্টার এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খসে পড়ছে ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তারা। কোয়ার্টারের ভগ্নদশায় চরম আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছেন এখানে বসবাসকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

একদিকে যেমন বসবাসের অনুপযোগী অবস্থা অন্যদিকে অবৈধ দখলদারদের কারণে শান্তিতে নেই কোয়ার্টারের প্রকৃত দাবিদাররা। ঝুঁকিপূর্ণ এসব কোয়ার্টারগুলো যাদের নামে বরাদ্দ তারা না থেকে কম টাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ভাড়া দিচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ না হওয়ায় কোয়ার্টারগুলো মেরামত করা যাচ্ছে না। খুলনা রেলওয়েতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাহিদা মোতাবেক স্টাফ কোয়ার্টারের পরিমাণ খুব কম।

সাড়ে ৪০০ স্টাফ কোয়ার্টার থাকলেও খুলনার আধুনিক রেলস্টেশন করার সময় প্রায় শতাধিক কোয়ার্টার ভেঙে ফেলা হয়। ফলে কোয়ার্টারের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। এছাড়া যেসব কোয়ার্টার রয়েছে সেগুলো খুলনা পুরাতন রেলস্টেশন এলাকা, জংশন এবং দৌলতপুর রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থিত।

এর মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের অফিসের বিপরীত পাশের পিটি-ওয়ান ভবন সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে। এই পিটিওয়ানে ৪টি কোয়ার্টার রয়েছে। এই ৪টি ছাড়া অন্য সকল কোয়ার্টার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

গত সেপ্টেম্বরে খুলনার ইন্সপেক্টর অফ ওয়ার্কস (আইওডাব্লিউ) চাঁদ আহমেদ রেলের সাড়ে ৩০০ স্টাফ কোয়ার্টারের সংস্কারের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশির বিভাগীয় প্রকৌশলীর নিকট লিখিতভাবে জানিয়েছেন।রেলওয়ে শ্রমিক সংগঠনের একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপকালে তারা ইউএনবিকে জানান, বরাদ্দ পাওয়ার পর রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোয়ার্টার ভাড়া দেন।

এ বিষয়ে তার যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ভাড়া না দিয়ে উপায় কী? স্টাফ কোয়ার্টারের যা অবস্থা সেখানে পরিবার নিয়ে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই যাদের নামে কোয়ার্টার বরাদ্দ হয় তারা অল্প মূল্যে ভাড়া দিয়ে দেন। নেতারা বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে দীর্ঘদিনের পুরাতন স্টাফ কোয়ার্টারগুলো সংস্কার না করে রেলওয়ের যে কোনো জায়গায় বহুতল কোয়ার্টার করলে সেটা ভালো হবে।

‘সাড়ে ৪০০ কোয়ার্টারের মধ্যে ১০০ কোয়ার্টার নতুন স্টেশনের সময় ভেঙে ফেলার কারণে খুলনায় স্টাফ কোয়ার্টার পর্যাপ্ত নেই। বাকি কোয়ার্টারগুলো অনেক পুরাতন। যার প্রায় প্রত্যেকটি সংস্কার করা দরকার,’যোগ করেন আইওডাব্লিউ চাঁদ আহমেদ। সূত্র-ইউএনবি

আাজকের বাজার/আখনূর রহমান