টাঙ্গাইলে চলতি মৌসুমে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে

কৃষি সমৃদ্ধ টাঙ্গাইল জেলায় এবার বোরো ধানে বাম্পার ফলন ও কাঙ্খিত দাম পাওয়ায় কৃষকরা চলতি আমন মৌসুমে উৎসাহ নিয়ে জমিতে ধানের চারা রোপন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেক কৃষককে দেয়া হয়েছে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ। টাঙ্গাইল কৃষি বিভাগ চলতি মৌসুমে ৮৯ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জেলায় এ বছর আগাম বন্যা না হওয়ায় এবং স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় খুশির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে কৃষকদের চোখে-মুখে। তারা চলতি আমন মৌসুমে জমিতে ধানের চারা রোপণ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অধিক ফলনের আশা নিয়ে তারা হাইব্রীড, বি.আর-১১, ২২, ব্রিধান-৪৯ সহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চারা রোপণ করছেন। কোন কৃষকরা ব্যস্ত জমি তৈরী ও জমিতে ধানের চারা রোপণে। আবার কোন কৃষকরা ব্যস্ত রোপণকৃত ধানের পরিচর্যায়। বন্যা না হলে এবারও তারা বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

জেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, জেলার ১২ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৮৯ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে জেলা কৃষি বিভাগ। সরকারের পক্ষ হতে কৃষকদের দেয়া হয়েছে প্রণোদনা। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় তৈরী করে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত বীজ তলা।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হাদি জানান, বন্যা যদি এবার না হয় তবে ধানের ফলন বাম্পার হবে। আমি ৫০ শতাংশ জমিতে বেশি ফলনের জন্য হাইব্রিড ধানের আবাদ করেছি। আশা করি সঠিক সময় ফসল ঘরে তুলতে পারবো। দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের কৃষক মুনতাজ বেপারী জানান, আমার ধান লাগানো শেষ। পানি না উঠলে এবার ফলন ভাল হবে। শেষ পর্যন্ত যদি ধানের দাম থাকে তবে লাভবান হতে পারি।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আরিফুর রহমান জানান, বর্তমানে জেলায় আমনের আবাদ চলমান রয়েছে। ৮৯ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আমাদের। এ বছর বন্যা হয় নাই, পরিমিত বৃষ্টি হয়েছে তাই আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হবে। এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫ ভাগ ধান লাগানো সম্পূর্ণ হয়েছে। শেষের দিকে বন্যা হলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সে কথা মাথায় রেখে আমরা আপতকালীন নাবী জাতের বীজতালা করে রেখেছি। অনাকাংখিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এবারও আমনের কাঙ্খিত ফলন আসবে বলে আশা রাখি। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান