ট্রাম্পের সঙ্গে সেলফি তোলায় তালাক

বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সেলফি তোলার নেশায় ডুবে স্বামীকে ছাড়তে হয়েছে বলে দাবি করেছেন এক নারী।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের পাম বিস কাউন্টির এই দম্পতি গত সপ্তাহে তালাক সম্পন্ন করেছেন। তবে এই বিচ্ছেদে খলনায়কের ভূমিকায় উঠে এসেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এনডিটিভি’র সংবাদে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এসডিটিভি জানিয়েছে, মিয়ামির প্রাক্তন ডলফিন চিয়ারলিডার লিন অ্যারোনবার্গ ও ফ্লোরিডার অ্যাটর্নি ডেভ অ্যারোনবার্গের মধ্যে ট্রাম্প ঢুকে পড়ায় দুই বছরের মাথায় তাদের সংসারে তালা লেগে গেল। ২০১৫ সালে তাদের বিয়ে হয়।

২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জেতার পর তার ফ্লোরিডার বিলাসবহুল অবকাশকেন্দ্র মার-অ্যা-লাগোতে স্ত্রী লিনকে নিয়ে যেতে শুরু করেন স্বামী ডেভ অ্যারোনবার্গ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তখনো শপথ নেননি ট্রাম্প। এরই মধ্যে ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ ওঠে। তখন সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছিলেন ডেভ অ্যারোনবার্গ।

ট্রাম্পের নির্বাচনী কলঙ্কের ভাগ নিতে রাজি ছিলেন না ডেভ। কারণ, তখন তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থন নিয়ে কংগ্রেসে নির্বাচনের কথা ভাবছিলেন। সেজন্য স্ত্রী লিনকে ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়ার সঙ্গে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। লিনের ভাষ্যানুযায়ী, তিনি স্বামীর কথা শোনেননি। ট্রাম্প ও মেলানিয়ার সঙ্গে তোলা সেলফি পোস্ট করতে থাকেন। এতে বিরক্তি প্রকাশ করেন ডেভের সমর্থকরা। কিন্তু তাতে কান দেননি তিনি।

লিনের দাবি, রিপাবলিকানদের কাছ থেকে তহবিল নিয়ে রাজ্যের সিনেটর নির্বাচনে বিজয়ী হন ডেভ। কিন্তু তিনি ডেমোক্র্যাটপন্থি। এ তথ্য ফাঁস করার জন্য লিনকে দায়ী করেন ডেভের সমর্থকরা। এ ছাড়া লিনের সমস্যার কারণে তাদের সন্তান নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এর মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে সেফলি তোলা নিয়ে বিরক্ত হন ডেভ। সব মিলে সংসার ভেঙে গেল তাদের। লিনের ভাষ্য, এর জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে তোলা সেলফিই দায়ী।

আজকের বাজার: আরআর/ ৩১ জুলাই ২০১৭