ডায়াবেটিক রোগীরা কেন রুটি খাবেন

ওজন কমাতে, কেউ কেউ আবার অভ্যাসের কারণেই রাতে রুটি খেয়ে থাকেন। রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে রুটি। যার কারণে এটি খাওয়া মাত্র রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না। ফলে যাদের ডায়াবেটিক আছে তারা নিশ্চিন্তে সকাল-বিকাল রুটি খেতেই পারেন। প্রসঙ্গত, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও রুটির কোনও বিকল্প হয় না।

প্রসঙ্গত, গমে উপস্থিত ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, সিলিকন, ক্লোরিন, সালফার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়োডিন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম এবং প্রাকৃতিক লবণ নানা দিক থেকে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আটায় ফ্যাট থাকে না বললেই চলে। সেই সঙ্গে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকার কারণে রুটি খেলে হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হঠাৎ করে সুগার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও এই খাবার খুবই উপকারি।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে রাতে রুটি খেলে আমাদের শরীরের ভেতরের বেশ কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেমন…

১. এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পায়

একাধিক কেস স্টাডি এবং গবেষণা করে দেখা গেছে রাতে রুটি খেলে শরীরে এনার্জির মাত্রা চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি পায়, ফলে ক্লান্তি দূর হয়ে শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

২. ওজন হ্রাসে সাহায্য করে

রুটিতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। মাত্র ৭০ শতাংশ। তাই রাত্রে রুটি খেলে ওজন বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। তাই তো যারা ওজন কমানোর বিষয় বদ্ধপরিকর, তারা ইচ্ছা হলে ডিনারের মেনুতে রুটি রাখতেই পারেন। প্রসঙ্গত, রাত যত বাড়তে থাকে, তত আমাদের শরীরের মেটাবলিজম রেট কমতে শুরু করে। তাই রাতে বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৩. শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাটকে ঝড়িয়ে দেয়

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে রুটি খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট ঝড়তে শুরু করে। ফলে ওজন কমে। আর্থাৎ রাতে রুটি খেলে ওজন তো বাড়েই না। উল্টে কমতে শুরু করে।

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে

রুটিতে উপস্থিত ফাইবার শরীরে প্রবেশ করা মাত্র হজম ক্ষমতা বাড়াতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বল এবং বদ-হজমের মতো সমস্যাও কমিয়ে দেয়। এখানেই শেষ নয়, তুল্য মূল্য বিচার করে দেখা গেছে রাতে ভাত এবং রুটির মধ্যে রুটি তাড়াতাড়ি হজম হয়। ফলে বদ-হজমের আশঙ্কা কমে।

৫. ক্যান্সার রোগের প্রকোপ কমায়

রুটিতে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬, এবং বি৯ থাকে, যা ক্যান্সার রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি আরও নানাভাবে শরীরের উপকারে লাগে। তাই রুটি খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই খারাপ নয়।

৬. মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হঠাৎ করে প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে রুটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

৭. খনিজের ঘাটতি পূরণ করে

শরীরকে সুস্থ রাখতে যে যে ভিটামিন এবং খনিজের প্রতিনিয়ত প্রয়োজন পরে, সেগুলি সবই রয়েছে রুটিতে। তাই তো রাতে হোক কী দিনে রুটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। ৮. ত্বকের জন্য উপকারি

রুটিতে প্রচুর মাত্রায় জিঙ্ক রয়েছে, যা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আজকের বাজার: এলকে/এলকে ১ আগষ্ট ২০১৭