ডিএনসিসি’র কোন মাঠে আর মেলার অনুমতি দেয়া হবে না: মেয়র আতিকুল ইসলাম

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) কোন মাঠে আর মেলার অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

নগর ভবনে আজ কিশোর-কিশোরীদের সাথে মেয়রের‘আমরাও বলতে চাই’শীর্ষক সংলাপে মোহাম্মদ হাসান নামে এক কিশোরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আতিকুল ইসলাম বলেন,“সিটি কর্পোরেশনের কোন মাঠে কোন ধরনের মেলা হবে না। আমরা এর অনুমতি দেব না। এগুলো তোমরা (শিশু-কিশোর) ব্যবহার করবে। যদি কোথাও কেউ সমস্যা করে, তোমাদের খেলতে না দেয়, তাহলে ৩৩৩ এর কল করে বলবে, আমার খেলার মাঠে আমাকে খেলতে দেয়া হচ্ছে না। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”

শিশু-বান্ধব শহর গড়ার লক্ষ্যে সিটি কর্পেরেশন আয়োজিত এই সংলাপে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকা থেকে, বিশেষ করে সুবিধা বঞ্চিত কিশোর-কিশোরীগণ অংশগ্রহণ করেন। কিশোর-কিশোরীরা পরিবেশ দূষণ, শিশুশ্রম, খেলার মাঠ, নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্যসেবা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ পানি, বস্তির আবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মেয়রের কাছে দাবি তুলে ধরেন।

এসময় কিশোরীরা তাদের খেলাধুলা এবং মাঠ ও পার্কে যাওয়ার নিরাপদ পরিবেশ দাবি করলে মেয়র বলেন,“আমরা ২৪টি খেলার মাঠ ও পার্কের সংস্কার ও উন্নয়ন করছি, যার ১৭টিতেই সিসি টিভি ক্যামেরা এবং এলইডি লাইট থাকবে। বনানী ১৮ নম্বর রোডের মাঠে শুধু নারী ও শিশুরা খেলবে। আর বাকিগুলোতেও একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা একটি নির্দিষ্ট জায়গা কিশোরীদের জন্য আলাদা করে দেয়া যায় কি না আমরা দেখব।”

মরিয়ম আক্তার মেঘলা নামের এক কিশোরী সিটি কর্পোরেশনের কাছে হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলোতে নারী চিকিৎসক এবং ফার্মাসিস্ট চান। মেঘলা বলেন,“আমাদের কিশোরীদের অনেক ধরনের সমস্যা থাকে, কিন্তু আমরা সেগুলো হাসপাতালে বা ফার্মেসিতে বলতে পারি না কারণ সেখানে পুরুষ বেশি।”

এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন,“সিটি কর্পোরেশনের মাতৃসদন হাসপাতালগুলোতে নারী চিকিৎসক আছেন, সেখানে কিশোর কিশোরী কর্নার রয়েছে। তোমরা সেখানে আসতে পারো। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরাও ভিজিটে তোমাদের কাছে যাবেন।”এ সময় মেয়র ঘোষণা দেন-যেসব ফার্মেসিতে শতভাগ নারী কর্মী থাকবেন তাদের শতভাগ কর মওকুফ করবে কর্পোরেশন।

মেয়র বলেন,“তোমাদের সাহস করে কথা বলতে হবে। তোমাদের অধিকার তোমাদেরকেই আদায় করে নিতে হবে। আজকে যে দাবীগুলো তোমরা উপস্থাপন করলে সেগুলো আমরা বিভিন্ন মেয়াদে সমাধান করবো।”সংলাপের পরে মেয়র কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে গুলশানস্থ বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্ক পরিদর্শন করেন।

সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর মঞ্জুর আহমেদ ও ইউনিসেফ এর নগর বিশেষজ্ঞ শামীমা সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। খবর:বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান