ডিএসইতে ৫শ’ কোটি টাকার কম লেনেদন

 

আজেকর বাজার ডেস্ক : সোমবার ২৪ এপ্রিল  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫’শ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৫ মাস পরে লেনদেনের পরিমাণ এতটা কম। একইসঙ্গে পতনে রয়েছে শেয়ারবাজার। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই পরিচালক শাকিল বলেন, উত্থান-পতন শেয়ারবাজারের চরিত্র। এখন পতন হচ্ছে, আবার উত্থান হবে। এটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া শেয়ারবাজারের চলমান পতনের পেছনে উল্লেখযোগ্য কোন কারন নাই বলে জানান তিনি।

এ দিন ডিএসইতে ৪৯৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বা সাড়ে ৫ মাসের মধ্যে কম। একইসঙ্গে গত ৫ কার্যদিবস ধরে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক লেনদেন কমছে।

এদিকে সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩ পয়েন্ট কমে দাড়িয়েছে ৫৪৩৫ পয়েন্টে। এতে গত ৫ কার্যদিবসের টানা পতনে সূচক কমেছে ১৬০ পয়েন্ট। যাতে সূচকটি চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বা ২ মাস ১৭ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমেছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৪টি কোম্পানির মধ্যে ১১০টি বা ৩৩.৯৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ১৭৩টি বা ৫৩.৪০ শতাংশ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টি বা ১২.৬৫ শতাংশ কোম্পানির।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। এ দিন কোম্পানির ২৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিজেন্ট টেক্সটাইলের ২৫ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশে (বিএটিবিসি)।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- বেক্সিমকো, আরএসআরএম স্টিল, প্রাইম ব্যাংক, শাহজিবাজার পাওয়ার, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনস।

এ দিন অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০২০০ পয়েন্টে। বাজারটিতে ৩৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৪০টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ১৪১টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৩০টির।