ডিএসসিসির সকল ওয়ার্ডে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে : মেয়র তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডেই ন্যূনতম ১টি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ নগরীর যাত্রাবাড়ী এলাকার জনপথ মোড়ে একটি গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
মেয়র বলেন, ‘ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি আকাক্সক্ষা ছিল বিশেষ করে যেসব জায়গায় গণপরিসর ও মানুষের আনাগোনা বেশি সেসব স্থানে যেন পর্যাপ্ত গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়। সেই কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। আমাদের লক্ষ্য ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রথম পর্যায়ে ন্যূনতম যেন একটি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা যায়। পরবর্তীতে আমরা জরিপ করে আরও চাহিদা অনুযায়ী সেটাকে বৃদ্ধি করবো। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি।’
অর্থ অপচয় না করেই ঢাকাবাসীর মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে পুরুষ ও মহিলা আলাদা আলাদাভাবেই গণশৌচাগার ব্যবহার করতে পারবে। এটি অত্যন্ত নিয়ম ও শৃঙ্খলা অনুযায়ী পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। আমাদের চলমান একটি প্রকল্প থেকে অর্থ সাশ্রয় করে এই কাজটি করেছি। সুতরাং অর্থের অপচয় রোধ করেই যেন সঠিকভাবে জনগণের কল্যাণ হয়, সে দিকটায় নজর দিয়েছি। পাশাপাশি ঢাকাবাসীর মৌলিক সেবা প্রদান নির্বিঘœ রাখতেও সজাগ রয়েছি।’
নগরে ছিন্নমূল মানুষদের সুবিধা নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ছিন্নমূল ও ভবঘুরেদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু সেটা র‌্যাব দখল করে রয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছি সেটা ছেড়ে দিতে কিন্তু এখনো তারা দখল ছাড়েনি। এছাড়াও ভবঘুরে এবং ছিন্নমূলদের  পূর্নবাসনের জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
এর আগে মেয়র নগরীর মতিঝিল এলাকায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ও পরে নগরীর ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫৫ জন নারীর প্রত্যেকের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান বিতরণ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো ও  অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে মো. সুলতান মিয়া, মাসুম মোল্লা, মো. খায়রুজ্জামান খাইরুল, শফিকুল আলম শামীম, মো. জিয়াউল হক এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের মধ্য মিনু রহমান, নাজমা বেগম ও সেলিনা খাঁন উপস্থিত ছিলেন।