ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে দেশের শিক্ষার্থীরা : পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে দেশের শিক্ষার্থীরা। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ঘরে বসে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে। বিকল্প প্লাটফরম হিসেবে চালু আছে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে পড়াশুনার কার্যক্রম।
প্রতিমন্ত্রী শনিবার বিকেলে সিংড়া উপজেলার ইটালী ইউনিয়নে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন রাতাল রাস্তার এইচবিবিকরণ এবং ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাতাল-শালিখাপাড়া খালের উপরে নির্মিত ব্রিজের উদ্বোধন শেষে রাতাল বাজারে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
ইটালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান রাজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান ও শামিমা হক রোজী, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। সারাদেশ এখন দ্রুতগতির ফোর-জি ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় এসেছে। এরফলে করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা বন্ধ থাকেনি। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করছে। যাদের ইন্টারনেট সংযোগ নেই, বিকল্প হিসেবে তারা সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে ক্লাসের সুফল পাচ্ছে।
পলক বলেন, আগামীতে বাস্তবায়িত পাইলট প্রকল্পের সুফল পেতে যাচ্ছে সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ২০টি করে ফ্রি ওয়াই-ফাই হট স্পট জোন তৈরী করা হচ্ছে। তবে ইন্টারনেট সংযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে শিক্ষার্থীদের। ইন্টারনেট সংযোগের ডিভাইসটি একটি যাদুর বাক্স। এটির সদ্ব্যবহার করে জ্ঞান অর্জন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। আর অপব্যবহার করলে তার অধঃপতনের কোন শেষ থাকবে না। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমশিম খেলেও জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারনে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছে। সময়মত তিন কোটি কোভিড-১৯ টিকার ফরমায়েশ প্রদান করে ইতোমধ্যে ৭০ লাখ টিকা এসে গেছে। এখন বিনামূল্যে টিকা দান কার্যক্রম সফলতার সাথে চলছে। বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২১তম স্থান অধিকার করেছে। শুধু করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলাই নয়, অসহায়দের খাবার, গৃহহীনদের আবাস, দূর্গতদের ত্রাণ, অসুস্থ্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি মানবিক কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে তথা দেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রধান হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা মমতাময়ী মা’য়ের আসনে আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
পলক আরো বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে আপোষ করেননি। দেশের জন্যে নিজের জীবনটাও উৎসর্গ করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি চেয়েছিলেন, দেশের সকল মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। তাঁর যোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বর্তমান সরকার। দেশ দ্রুত উন্নত হচ্ছে। মিথ্যা অপপ্রচার করে মানুষকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না।
পরে প্রতিমন্ত্রী ইটালী ইউনিয়নের তিড়াইল ও পাকুড়িয়াতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন এবং ইটালী-শিকিচৌওড়া রাস্তা সংস্কার কাজেরও উদ্বোধন করেন।