ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকালে অনুষ্ঠান শেষ করার অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালনের উদ্দেশ্যে ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সকাল এগারোটার মধ্যে শেষ করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা উপ-কমিটি বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকা মহানগরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অনুষ্ঠান, সকাল ১১ টার মধ্যে শেষ করার অনুরোধ করা হবে এবং এই বিষয়ে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানাবো। তিনি বলেন, এটা জাতীয় শিশু দিবস (১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস)। শিশুদের অনুষ্ঠান ও যা কিছু হয় শুধু ঢাকা শহরে ১১ টার মধ্যে শেষ করতে হবে। শুধু ঢাকা শহরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য সকাল ১১টার মধ্যে শেষ করতে হবে স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিশু দিবসের অনুষ্ঠান। অন্যান্য শহরে স্বাভাবিকভাবেই চলবে। তিনি বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রতিটি ইভেন্টে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টিম সব সময় প্রস্তুত থাকবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে, সেখানে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হবে এবং সেখানেও জেলা প্রশাসকসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নাশকতা প্রতিরোধ ও সোশ্যাল মিডিয়া গুজব রটনাকারীদের নজর রাখা হবে এবং এ ধরনের কিছু পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, যেহেতু বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। জেনারেল গেইট খোলা থাকবে কিন্তু ভিআইপি গেইট ৩টা ১৫ মিনিটের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। কতগুলি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানাবে। তবে লক্ষাধিক অতিথি থাকবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আগমন এর প্রেক্ষিতে কয়েকটি সংগঠনের প্রতিবাদের ডাক দেয়ায় কী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমার মনে হয় তার কাছে আপনারা যে ব্যাখ্যাটি পেয়েছেন, সেটাই আমাদের বক্তব্য।

এখানে নতুন করে কিছু বলার নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশ আমাদের মত চলবে, আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ, সেই মূল্যবোধ নিয়েই আমরা কাজ করছি। আমরা সেভাবেই চলবো। নাশকতার কোনো খবরই এই পর্যন্ত পাওয়া যায়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা একটা জন্ম শতবার্ষিকী। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, সারাবিশ্ব যাকে সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে। সেই মহান নেতার জন্মশতবর্ষ পালন হবে, সারাদেশ উদগ্রীব হয়ে আছে। সারা দেশের মানুষ কিভাবে এটা পালন করবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। এই জায়গা থেকে কোন নাশকতা হবে বলে আমি মনে করছি না, আমি চিন্তাও করতে পারছি না। কতজন নিরাপত্তাবাহিনীর থাকবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যা প্রয়োজন যতটুকু প্রয়োজন ততটা বাহিনী থাকবে। প্রয়োজন হলে দশ হাজার নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে, তারও বেশি হলে বেশি নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। এখানে কোনো রকম অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখা হবে না। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান