তামাকের উপর কর বৃদ্ধি, জীবন বাচাঁবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াবে

২০ এপ্রিল, শনিবার, ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের প্রশিক্ষণ কক্ষে সকাল ১০টায় “ তামাকজাত দ্রব্যের উপর উচ্চহারে কর আরোপের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা তামাকজাত পণ্যের উপর উচ্চহারে কর আরোপে জনজীবন বাঁচবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মন্তব্য করেন। সভায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন সহ উপস্থিত বক্তরা ২০১৯-২০ অর্থবছরের তামাকের উপরের কর কাঠামোর প্রস্তাবনায় বলেন, “সিগারেটের মূল্যস্তর সংখ্যা ৪ টি থেকে কমিয়ে ২টি (নিন্ম এবং উচ্চ) স্তরে নিয়ে আসা, নিন্মস্তর ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং উচ্চস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ন্যূনতম ১০৫ টাকা নির্ধারণ করে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শল্ক আরোপ করা এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বিলুপ্তকরে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫% সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য করা।” সভাটি সভাপত্বিত করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস , সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরাফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, যমুনা নিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেট সুশান্ত সিনহা, ভাইটাল স্ট্রাটিজির কান্ট্রি ম্যানেজার মো: নাসির উদ্দিন, ভয়েস এর হেড অব প্রোগ্রাম আজমল হোসেন সহ তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ ও স্বাস্থ্য সেক্টরের বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মীগণ। এ সভায় মূল বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন এর সহকারী পরিচালক ও তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের এর প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি তার উপস্থাপনায় যে সকল সুপারিশ উপস্থাপন করেন: (১) সকল তামাকপণ্যে’ খুচরা মূল্যের (গজচ) ভিত্তিতে করারোপ করতে হবে; (২) সকল তামাকপণ্যের উপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে; (৩) মূল্যস্ফীতি এবং আয় বৃদ্ধি সাথে সঙ্গতি রেখে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি করতে হবে; (৪) করারোপ প্রক্রিয়া সহজ করতে তামাকপণ্যের মধ্যে বিদ্যমান বিভাজন (ফিল্টার/নন ফিল্টার বিড়ি, সিগারেটের মূল্যস্তর, জর্দা ও গুলের আলাদা ট্যারিফ ভ্যালু প্রভৃতি) তুলে দিতে হবে; (৫) সকল ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য উৎপাদানকারীকে সরকারের করজালের আওতায় নিয়ে আসতে হবে; (৬) একটি সহজ এবং কার্যকর তামাক কর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন (৫ বছর মেয়াদি) করা, যা তামাকের ব্যবহার হ্রাস এবং রাজস্ব বৃদ্ধিতে ভ‚মিকা রাখবে; (৭) সকল প্রকার ই-সিগারেট এবং হিটেড (আইকিউওএস) তামাকপণ্যের উৎপাদন, আমদানি এবং বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা; (৮) কঠোর লাইসেন্সিং এবং ট্রেসিং ব্যবস্থাসহ তামাক কর প্রশাসন শক্তিশালী করা, কর ফাঁকির জন্য শাস্তিমূলক জরিমানার ব্যবস্থা করা।