দিনাজপুরের সমতলে চা বাগান করে ফজলে রাব্বির চমক

জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও গ্রামের সমতল জমিতে প্রকৃতির নিয়ম বদলে প্রথমবারের মতো চা বাগান করে ফজলে রাব্বি নামক এক যুবক চমক দেখিয়েছেন।

সাড়ে ৩ বছর পূর্বে এই উপজেলার মধ্যে প্রথম চা চাষ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে চা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার নিজস্ব জমির পুরোটা সবুজ চা পাতায় ভরে গেছে। তার চা বাগান দেখে উপজেলার অনেক মানুষ চা বাগান করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং অনেকে শুরুও করেছেন।

সরেজমিনে খনগাঁও গ্রামে গিয়ে যুবক ফজলে রাব্বীর কাছে গেলে তিনি বলেন, গত সাড়ে ৩ বছর পূর্বে পঞ্চগড় থেকে চা গাছের চারা এনে ফজলে রাব্বি তার নিজস্ব জমিতে পরীক্ষামূলক সৃজন করেন। তার ৩ একর জমিতে প্রায় ১৮ হাজার চায়ের গাছ আছে। এর খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ টাকা। বর্তমানে তিনি ৪৫ থেকে ৫০ দিন পর-পর চা পাতা বিক্রি করছেন।

একটি চা কম্পানি তার বাগানে এসে চা পাতা নিয়ে যায়। বাগান থেকে প্রতি কেজি চা পাতা ১৬ থেকে ২৭ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়। রাব্বির চা বাগানে এলাকার কিছু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার তিনি ১ হাজার ৭০০ কেজি চা পাতা বিক্রি করেন। সামনে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার কেজি চা পাতা বিক্রি হবে বলে ধারণা করছেন।

চা চাষি রাব্বি বলেন, সাড়ে ৩ বছর আগে যখন চা বাগান শুরু করি অনেকে বলেছিল হবে না। কিন্তু আমি চেষ্টা এবং পরিশ্রম করেছি। আল্লাহর রহমতে চা বাগান ভালোই হয়েছে। এর উদ্যোক্তা আমার বড় ভাই ফজলে মুকিম। ভাইয়ের উদ্যোগেই চা বাগান হয়েছে।

বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরিফ আফজাল জানান, আমাদের উপজেলার কৃষক ফজলে রাব্বি। তার বড় ভাইয়ের পরপর্শে সর্বপ্রথম বোচাগঞ্জে চা বাগান করার উদ্যোগ নেন। বর্তমান তিনি একজন সফল কৃষক। তাকে দেখে অনেকে চা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করছি। কৃষি উপসহকারী কর্মকতা মাঠ পর্যায়ে পরির্দশন করে পরামর্শ দিচ্ছেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান