দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদ জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় : নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

জেলার গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় এই ঈদ জামাতে ১৯টি গেট দিয়ে মুসুল্লিরা ঈদগাহে প্রবেশ করবে। মুসুল্লিরা তাদের নামাজের জায়নামাজ ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করবে।

জেলার গোর-এ শহীদ ঈদগাহ মাঠে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুতের শেষ প্রান্তে। আজ রোববার থেকে ঈদের জামাতের পূর্ব পর্যন্ত বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি সাংবাদিকদের জানান, দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যেও সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

করোনার কারনে নামাজ আদায় বন্ধ থাকার পর এবার ঈদুল ফিতর এর নামাজ আদায় হবে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর একসাথে সর্ববৃহৎ জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য মুসুল্লিদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। মুসুল্লিদের নিরাপত্তায় তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এরই মধ্যে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যবেক্ষণের টাওয়ার।

তিনি জানান, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ঈদ জামাতকেই দেশের সর্ববৃহৎ মাঠ ও জামাত হিসাবে অভিহিত করা হয়। দিনাজপুর গোর এ শহীদ ময়দানটি ২২ একর জমির উপর অবস্থিত। গত ২০১৯ সালের জামাতে প্রায় ৬ লাখ মুসুল্লি জামাত আদায় করেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, দেশের সর্ববৃহৎ জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক মুসুল্লির ওজুর জন্য ট্যাপ স্থাপন করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গোর এ শহীদ বড় ময়দানের দেশের সর্ববৃহৎ ঈদগা মাঠের মুসুল্লিদের অংশগ্রহণ, যানজট সৃষ্টি না হওয়াসহ যানবাহন নিয়ন্ত্রনে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মাঠের চারিদিকে ট্রাফিক ব্যবস্থার পাশাপাশি যানবাহন রাখার জন্য গ্যারেজ বা ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার মোতায়েন থাকবে। সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নজরদারী বৃদ্ধি করবে। উপরে পুলিশের তত্ত্বাবধানে ড্রোন উড্ডয়মান থাকবে। ড্রোন চালানোর মাধ্যমে ঈদগাহ মাঠের সকল মুসুল্লি নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান