দুদকের অপসারিত কর্মকর্তা শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহালের রিটের শুনানি পিছিয়েছে

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে অপসারিত কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিনের চাকরি পুনর্বহাল চেয়ে আনা রিটের শুনানি পিছিয়েছে। রিটটির শুনানি ১৯ মে পর্যন্ত মূলতবি করে আদেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

আজ বিষয়টি শুনানির জন্য উত্থাপিত হয়। রিটের শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, চাকরি পুনর্বহাল চেয়ে শরীফ উদ্দিনের একটি আবেদন দুদকে পেন্ডিং আছে। এ অবস্থায় একই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট শুনানি চলতে পারে না। তখন আদালত দুদকের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা তার আবেদন নিষ্পত্তি করুন। আমরা এই রিট শুনানি ১৯ মে পর্যন্ত মুলতবি রাখছি। তবে চাকরি পুনর্বহাল চেয়ে মো. শরীফ উদ্দিনের আবেদন অনন্তকাল ফেলে রাখা যাবে না।

আদালতে শরীফ উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। গত ১৩ মার্চ চাকরি ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন দুদক থেকে অপসারিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়। দুদকের পরিচালক (প্রশাসন ও মানব সম্পদ) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে নানা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিভ্রান্তি দূর করতে শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ বিষয়ে দুদক সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের কারণ হিসেবে অনিয়ম দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার ১৩ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেন দুদক সচিব জানায়।

মোঃ শরীফ উদ্দিন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ে কর্মরত থাকাকালে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে গনমাধ্যমেও প্রতিবেদন এসেছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে অনেক ভুক্তভোগী দুদকে লিখিত অভিয়োগ করেছেন। পাশাপাশি দুদক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন মামলায় শরীফ উদ্দিনের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে অনেক গনমাধ্যম।

চাকরি অপসারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা (যদি থাকে) পাবেন। কমিশনের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান