দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রায় বস্ত্রশিল্প খাত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রায় বস্ত্রশিল্প খাত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন,‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রায় বস্ত্রশিল্প খাত সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনেরা পারস্পরিক সুসম্পক বজায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান নিশ্চিত করার পাশাপাশি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।’প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।

দেশব্যাপী এদিন প্রথমবারের মতো‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’পালিত হচ্ছে এবং এই উপলক্ষে ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। এ দিবসটির প্রতিপাদ্য‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন-টেকসই উন্নয়ন’অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়েছে বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে বস্ত্রখাত দেশের বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। বর্তমান সরকার এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে‘বস্ত্রনীতি ২০১৭’ও‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বস্ত্র পরিদপ্তরকে বস্ত্র অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে।

বস্ত্রশিক্ষার প্রসারের জন্য বেশ কয়েকটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও নতুন নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট এবং তাঁত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা অনুসারে দেশের বস্ত্রশিল্প খাতকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান ও বস্ত্রশিক্ষার বিস্তারে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়কে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশীয় কাঁচামাল ও সম্পদ ব্যবহার করে শ্রমঘন শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিত্যক্ত কলকারখানা জাতীয়করণ করে অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। ফলে বস্ত্রশিল্পে অধিকতর উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটে এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকুরি নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে এক নতুন দিগন্তে উন্মোচন ঘটে। তথ্য:বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান