দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে আইনজীবীদের ভূমিকা রয়েছে। আইনজীবীগণ যুক্তিতর্কের মধ্যদিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সহায়তা করেন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। তিনি আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটরিয়ামে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পিতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক জেলা পিপি মরহুম এডভোকেট আলহাজ নুরুচ্ছাফা তালুকদারের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্মরণসভা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট নিখিল কুমার নাথের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোক্তার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মো. জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রমুখ। এতে মরহুমের পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন নুরুচ্ছাফা তালুকদারের সহধর্মিনী এডভোকেট কামরুননাহার বেগম।

আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে কৃষি মন্ত্রী বলেন, এডভোকেট নুরুচ্ছাফা তালুকদারের আদর্শ নিয়ে আইনপেশায় নিযুক্ত হতে হবে। তিনি ছিলেন সৎ ও ন্যায় পরায়ণ ব্যক্তি। সত্যকে সত্য বলার মত সৎ সাহস ছিল তার। আবদুর রাজ্জাক বলেন, এরশাদ ও জিয়া বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। সামরিক শাসন দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না। সাধারণ মানুষ ন্যায্য অধিকার পায় না। মানবাধিকার নিশ্চিত হয় না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের মহাসড়কে সংযুক্ত। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে রায় দিতে হবে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট ম্যাগ নামারা এসে বলেছিলেন, জনসংখ্যাধিক্যের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে নাও থাকতে পারে। যদি টিকে থাকে তাহলে হবে বিদেশি সাহায্যের ওপর চির নির্ভরশীল একটি দেশ।

তিনি বলেন, অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ, হার্ভার্ডের বড় বড় অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন বাংলাদেশ হবে পৃথিবীতে দারিদ্র ও দুর্নীতির একটি মডেল। কিন্তু আজকে সৌভাগ্যের বিষয় যারা এই কথাগুলো বলেছিলেন সেই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের সেক্রেটারি, বিশ্বব্যাংকের চীফ ইকোনমিস্টরা এসে বলছেন বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে পৃথিবীর কাছে একটি বিস্ময়। অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে ভৌত অবকাঠামো, সামাজিক অবকাঠামো, পদ্মাসেতু, আইসিটি, কৃষি, শিল্প শিক্ষা প্রতিটি ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য রয়েছে বাংলাদেশের। এই সাফল্যের কিসসা ও গল্প শোনার জন্য তারা বাংলাদেশে এসেছেন বলেন মন্ত্রী। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান