দ.আফ্রিকায় জুলাইয়ে সংঘটিত দাঙ্গার ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত শুরু

দক্ষিণ  আফ্রিকার মানবাধিকার কমিশন গত জুলাইয়ে ঘটে যাওয়া দাঙ্গার ব্যাপারে সোমবার শুনানি শুরু  করেছে। আর এ সহিংসতায় ৩৫৪ জন প্রাণ হারান। খবর এএফপি’র।
এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, এ সহিংসতার কারণে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে দেখা যায়।
কওয়াজুলু-নাতাল প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী ডার্বানের উপকণ্ঠে এ শুনানি করা হয়।  এ অঞ্চল ব্যাপক সহিংসতার শিকার হয়।
দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির ব্যাপারে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করায় তাকে কারাগারে পাঠানো হলে এ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। কওয়াজুলু-নাতাল হচ্ছে তার সমর্থক গোষ্ঠীর একটি শক্তিশালী ঘাঁটি।
তবে প্রাথমিকভাবে স্বল্প পরিসরে লুটপাটের মধ্যদিয়ে এ দাঙ্গা শুরু হলেও পরবর্তীতে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে এবং জোহানেসবার্গে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দক্ষিণ আফ্রিকার ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য নিয়ে অসন্তোষ দেখা যায়।
মানবাধিকার কমিশনের এ শুনানিতে প্রথম সাক্ষী জেমা নগুজ বলেন, এ দাঙ্গায় তার ১৭ বছর বয়সী ভাতুষ্পুত্র সিবাহল নিহত হয়েছে।
তিনি জানান,   ডার্বানের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী তাদের দোকান-পাট লুট হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে তার কমিউনিটির লোকজনের কুঁড়েঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং তারা সেখানে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে। এতে তার ভাতুষ্পুত্র নিহত হয়।
তিনি কমিশনকে বলেন, ‘বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা টিয়্যার গ্যাস নিক্ষেপ করার কারণে লোকজন হুড়িহুড়ি করে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।’ আর এ সময় সিবাহল গলিবিদ্ধ হয়।
আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শুনানি চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।