নওগাঁয় মুজিববর্ষে গৃহহীনদের মধ্যে ১৫৫৮টি গৃহ প্রদান

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী “মুজিববর্ষ” উপলক্ষে নওগাঁয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মোট ১ হাজার ৫শ ৫৮টি গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হয়েছে। মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে এসব গৃহহীন পরিবারগুলো কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী “মুজিব বর্ষ” উপলক্ষে দেশের নানামুখী উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে খাস জমিতে সরকারের অর্থায়নে বাড়ি নির্মাণ করে বিতরণ অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং জনহিতকর একটি কার্যক্রম। “অশ্রয়ণের অধিকার. শেখ হাসিনার উপহ্রা” স্লেøাগান বাস্তবায়নে এবং দেশে একজন ব্যক্তিও গৃহহীন থাকবেনা পধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দেশে গৃহহীন পরিবারের মধ্যে খাস সম্পত্তির উপর এসব গৃহ নির্মাণ করে সঠিক যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে গৃহহীন পরিবারের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় জেলার ১১টি উপজেলায় প্রথম ধাপে ১ হাজার ৫৬টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৫০২টি গৃহসহ মোট ১ হাজার ৫শ ৫৮টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব গৃহে ১ হাজার ৫শ ৫৮টি গৃহহীন ছিন্নমুল পরিবারের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব গৃহে বাসিন্দারা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। প্রথম ধাপের প্রতিটিতে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা করে এবং দ্বিতীয়ধাপের প্রতিটিতে ২ লক্ষ টাকা করে নির্মাণ ব্যয় হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ২৭ কোটি ৯৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
প্রতিটি বাড়িতে দু’টি শোয়ার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি ল্যাট্্িরন এবং বারান্দাসহ একটি পরিবারের বসবাসের সম্পন্ন উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়েছে এসব গৃহ। একই নকসায় নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে এসব গৃহ শোভা বর্ধন করছে।
এসব গৃহ বরাদ্দ পেয়ে নানা আয়বর্ধক পেশায় যুক্ত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে সংসারের স্বচ্ছলতা অর্জনের প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বাসিন্দারা ।
কেবলমাত্র গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে তাই নয়, এসব আবাসিক এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক নলকূপ স্থাপন, বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদান, শিশুদের খেলাধুলার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নওগাঁ’র জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশীদ বলেছেন মুজিববর্ষের অঙ্গীকার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এ দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা । সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন স্বরুপ ইতিমধ্যে দুই ধাপে জেলায় ১ হাজার ৫শ ৫৮টি গৃহ নির্মাণ করে বরাদ্দ করা হয়েছে। সম্প্রতি তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্প গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে। দেশের প্রকৃত গৃহহীনদের শনাক্ত করে খাস জমিতে সরকারী অর্থায়নে গৃহ নির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারের এ উদ্যোগকে যুগান্তকারী এবং অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক।