নতুন ওষুধে ৮০ ভাগ মশা অজ্ঞান

ভারত থেকে আনা মশক নিধনের ওষুধে ৮০ ভাগের বেশি মশা অজ্ঞান (নক ডাউন) করতে পেরেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আর এতেই প্রাথমিকভাবে ওষুধ পাস বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
সোমবার ডিএসসিসি নগর ভবন প্রাঙ্গণে তিন ধরনের ওষুধের তিনটি করে মোট নয়টি নমুনায় ওষুধের পরীক্ষা করেন তিনি।
ডিএসসিসি’র মেয়র সাঈদ খোকন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল (ডা.) মোঃ শরীফ আহমেদ, আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মিনতি সাহা, কৃষি অধিদপ্তরের প্ল্যান্ট প্রটেকশন উইংয়ের যুগ্ম পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষার ফলাফল যাচাই শেষে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, মশার ওষুধ আমরা তিনভাবে পরীক্ষা করি- ফিল্ড টেস্ট মানে আজ যা হলো, এরপর ল্যাব টেস্ট ও সবশেষে প্ল্যান্ট প্রটেকশন টেস্ট। আজকের পরীক্ষার প্রতিটি নমুনাতেই নক ডাউন অর্থাৎ অজ্ঞান হওয়া মশার সংখ্যা শতকরা ৮০ ভাগের উপরে। সে হিসেবে প্রাথমিকভাবে এ ওষুধ পাস। এরপর নমুনাগুলো ২৪ ঘণ্টা পর আবার দেখা হবে যে কতগুলো মারা গেলো। তাতে ফিল্ড টেস্টের সম্পূর্ণ ফলাফল পাওয়া যাবে।
নূরুজ্জামান  বলেন, সিটি করপোরেশনের মশক নিবারণ অধিদপ্তর থেকে এ মশাগুলো আমরা সংগ্রহ করেছি। তারা কেরানীগঞ্জ থেকে লার্ভা সংগ্রহ করে সেখান থেকে মশার প্রজনন করেছেন।
এদিকে ওষুধ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দুই বিশেষজ্ঞ ড. মিনতি সাহা ও ড. আমিনুল ইসলাম। সম্প্রতি ভারতের ট্যাগ্রস নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব ওষুধ আনা হয় কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য। সব পরীক্ষা শেষে ওষুধ অনুমোদন পেলে দ্রুতই তা আমদানি করা হবে।
আজকের বাজার/এমএইচ