নদীবন্দর সমূহে এক নম্বর সতর্ক সংকেত

আজ দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
আজ দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃিষ্টসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যোতে বলা হয়েছে।
পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ সিলেটে ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ভোলায় ৬৪, তেঁতুলিয়ায় ৬৩, বগুড়ায় ৪৫, চাঁদপুরে ৩৬, নিকলিতে ৩৬ ও চট্টগ্রামে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় ঢাকায় ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এছাড়া সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজকের সর্বোনিন্ম তাপমাত্রা বগুড়ায় ২৫ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এ সময় ঢাকায় সর্বোনিন্ম তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোনিন্ম রাজশাহী, রাজারহাট ও রাঙ্গামাটিতে ২৫ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ছাড়া গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিন্ম ২৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার এবং সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫ টা ৩২ মিনিটে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমী বায়ূর অক্ষের বাড়তি অংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ূ বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বাঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।