নিউইয়র্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শহিদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শহিদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক, সাস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত সকলকে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। এ দিবস উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে শহিদ শেখ কামালের উপর নির্মিত একটি প্রমান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যসহ সকল শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
কনসাল জেনারেল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ শেখ কামালের জীবন সম্বন্ধে আলোচনাকালে কনসাল জেনারেল মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে তিনি অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কনসাল জেনারেল বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শহিদ শেখ কামালের কর্মময় জীবন ও আদর্শ সবসময় আমাদের কাছে, বিশেষ করে যুবসমাজের কাছে অনুপ্রেরণার এক অবিরাম উৎস হয়ে থাকবে। কনসাল জেনারেল শেখ কামালের কর্মময় জীবন ও বাংলাদেশের ক্রীড়া, শিল্প, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে তাঁর অবদান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে অবহিত করার জন্য উপস্থিত সকলকে আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত শহিদ শেখ কামালের স্ত্রী শহিদ সুলতানা কামালের বড় বোন মিসেস খালেদা রহমান টেলিফোনে সংযুক্ত হয়ে স্মৃতিচারণ করেন। অন্যান্য বক্তাগণ শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের আলোকিত জীবন ও কর্মের উপর স্মৃতিচারণ ও আলোচনা করতে গিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের কথা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন।