নেত্রকোণায় দুই কিশোর কর্মচারীর মারামারি, একজন নিহত অপরজন আটক

নেত্রকোণা পৌর শহরের বড় বাজার সালথি রেস্টুরেন্ট এর কর্মচারীদের মধ্যে মারামারির পর ইসমাইল নামে এক কিশোর কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। ইসমাইল জেলা সদরের রৌহা ইউনিয়নের ছোটগাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে।

মঙ্গলবার রাতে শহরের বড় বাজার সালিথি রেস্টুরেন্টে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অপর কিশোর কর্মচারী আল মামুনকে আটক করেছে। মামুন সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের পঞ্চাননপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে। তবে কি কারণে এই মারামারির ঘটনা তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের ছোটগাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের স্ত্রী কনা বেগম ও ছেলে ইসমাইল পৌর শহরের বড় বাজার সালথি রেস্টুরেন্টে কর্মচারীর কাজ করতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসমাইলের মা চলে গেলেও ছেলে রেস্টুরেন্ট ছিল।

পরবর্তীতে কোনো একটি ঘটনাকে নিয়ে রাতে ইসমাইল আরেক কর্মচারী আল মামুনের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হয়। কিন্তু কি কারণে এমন মারামারির ঘটনা তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। তাদের মারামারির একপর্যায়ে ইসমাইল গুরুতর আহত হলে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে নেত্রকোণা মডেল থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।

এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অপর কিশোর কর্মচারী আল মামুনকে আটক করে মডেল থানার পুলিশ। নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। নিহতের মা ও ভাই জানান, ইসমাইলকে তলপেটে লাথি মেরে মেরে ফেলা হয়েছে।

নেত্রকোণা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম আসাদ বলেন, আমরা খবর পেয়েই এসেছি। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। খবর-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান