নোয়াখালীতে ১৮ পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা, একটি হসপিটাল থেকে লকডাউন প্রত্যাহার

Noakhali

জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক মহিলার মৃত্যুর কারণে ১৮টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে এবং ঘোষিত ৭দিনে শেষ হওয়ায় একটি হসপিটাল থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়।
চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের আজম মার্কেট সংলগ্ন ব্যাপারি বাড়িতে করোনা উপসর্গ নিয়ে ফিরোজা বেগম (৫৫) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই বাড়ির ১৮টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফিরোজা বেগম একই এলাকার বাড়ির মৃত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. তামজীদ হোসেন বাসসকে জানান, গতকাল বিকেলে মৃত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে স্থানীয় উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার নাছির উদ্দিনের চেম্বারে দেখিয়ে বাড়িতে ফিরে যান। পরবর্তিতে রাত সাড়ে ১০ টায় তিনি মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাক আহমেদ জানান, ফরিদা বেগম জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিল। তবে, দীর্ঘদিন তিনি ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছিলেন। যেহেতু, বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে, রাত ২ টায় তার এবং তার সঙ্গে সংস্পর্শে আসা তার ছেলে ও মেয়ের নমুুুুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আজ সংগৃহিত নমুনা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) চট্টগ্রাম এ পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মৃতের সংস্পর্শে আসা উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার নাছির উদ্দিনকে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিদারুল আলম বলেন, ওই বাড়ির ১৮ টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সকালে তার লাশ উপজেলা দাফন কমিটি কর্র্তৃক করোনা নিয়ম-কানুন মেনে দাফন করা হয়েছে।
অপরদিকে, জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলম (৪৫) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তিনি প্রাইম হসপিটালে চিকিৎসা নেয়ার তথ্য গোপন করায় হসপিটালটি ৭দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিলো। ৭দিন পর শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লকডাউন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান।