ন্যাটোর সম্প্রসারণ বাধার সম্মুখীন : ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বৃদ্ধি করেছে ইইউ

ন্যাটোতে যোগদানে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের পদক্ষেপ একাধিক বাধার সম্মুখীন হওয়ায় ইউরোপ শুক্রবার কিয়েভের জন্য আরো অর্ধ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মস্কো বলেছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আবেদন করলে রাশিয়া হেলসিংকির  বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে এবং এই দেশ দু’টির ন্যাটোতে সদস্য পদ পেতে ন্যাটো সদস্য তুরস্কের প্রেসিডেন্টের অনুমোদন লাগবে। তুরস্ক স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিরোধিতা করছে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দনবাস অঞ্চলে দীর্ঘ ফ্রন্টলাইনে রুশ ও ইউক্রেনীয় সৈন্যদের মধ্যে লড়াই চলছে, তবে উভয়পক্ষে অগ্রগতি সামান্য। এদিকে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা মারিউপুলের একটি স্টিলওয়ার্কে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধারে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর পরে প্রথমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু সরাসরি কথা বলেছেন। তবে পেন্টাগনের মতে এক ঘন্টাব্যাপী এই আলোচনায় শোইগুকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে অস্টিনের আহবান ছাড়া তেমন কোন অগ্রগতির খবর জানা যায়নি।
এক সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই ফোনালাপে সুনির্দিষ্ট কোন সমাধান আসেনি অথবা রাশিয়া কী করছে বা বলছে সে বিষয়ে সরাসরি কোন পরিবর্তন আসেনি।’
হেলসিঙ্কিতে নেতারা ‘অতি দ্রুত’ ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করার ঘোষণার একদিন পর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জরুরি এনার্জি গ্রুপ আরএও বলেছে, তারা শনিবার থেকে হেলসিংকিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করবে।
ইন্টার ‘রাও’ সম্পূরক সংস্থা মে মাসে বিক্রি হওয়া বিদ্যুতের অর্থ পরিশোধ না করার জন্য এই স্থগিতাদেশকে দায়ী করেছে।
দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ প্রতিবেশী রাশিয়া থেকে আসে উল্লেখ করে ফিনিশ বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক অপারেটর বলেছে, দেশটি রাশিয়ার বিদ্যুৎ ছাড়াই চলতে সক্ষম।
ফিনিশ বিদ্যুৎ সংস্থা ফিনগ্রিড অপারেশনাল প্লানিং ব্যবস্থাপক টিমো কাউকোনেন বলেছেন, ‘ আমরা এর জন্য প্রস্তুত এবং এটি মোকাবিলা করা কঠিন হবে না। আমরা সুইডিস এবং নরওয়ে থেকে আরো কিছুটা আমদানি করতে পারি।
কিন্তু ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন উভয়ই বড় ধরণের ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা ন্যাটোতে যোগদানের প্রতিনিধিত্ব করবে। বছরের পর বছর গর্বিতভাবে জোটের সদস্যের বাইরে থাকার পর কাটঅফ চ্যালেঞ্জ গুলো গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
দ্বিতীয় বাধা হচ্ছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে প্রবেশের বিরোধিতা করছেন।
এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তুর্কি বিচ্ছিন্ন ও ভিন্নমতাবলম্বী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে আশ্রয় দেয়ার জন্য স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর ন্যাটোতে যোগদানে ব্যাপারে আমাদের ইতিবাচক মতামত নেই।’