পঞ্চগড়ে ধান কর্তনে মেশিনের ব্যবহার বাড়ছে

জেলায় কৃষিতে ডিজিটাল মেশিনের ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। জমি চাষ, ফসল বপন ও ফসল কর্তনে প্রায় সর্বত্র মেশিনের ব্যবহার হচ্ছে। কৃষিকে এগিয়ে নিতে যান্ত্রিকতার বিকল্প নেই। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষক কৃষিতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে।

কৃষককে আরও বেশি করে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে সরকার যান্ত্রিক মেশিন ক্রয়ে ভর্র্তুকি দিচ্ছে ৬০ শতাংশ টাকা। জাপান থেকে আসা ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টিং মেশিন ধান কর্তনের পর ধান বস্তায় ভর্তি হচ্ছে। কৃষকের সময় ও অর্থ দুটোই সা¯্রয় হচ্ছে। ডিজেল চালিত এ মেশিন দিয়ে ঘন্টায় এক একর জমির ধান কর্তন ও ধান বস্তা ভর্তি করা হচ্ছে। একরে ডিজেল খরচ হয় ১০ লিটার। একর প্রতি ধান কর্তনে খরচ ৪ হাজার ৫শ টাকা। বাংলাদেশ সরকার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এসিআই কোম্পানির নিকট থেকে ৬০ শতাংশ অর্থ ভতর্ুুকি দিয়ে এ মেশিন ক্রয়ে কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করে আসছে। ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টিং মেশিনের দাম ২৮ লাক্ষ টাকা। ৬০ শতাংশ ভর্র্তুকি হিসেবে সরকার দিচ্ছে ১৬ লাক্ষ ৮০ হাজার টাকা। সরকারের ভর্র্তুকি বাদে মেশিনের দাম হচ্ছে ১১ লাক্ষ ২০ হাজার টাকা। এসিআই কোম্পানি সহজ কিস্তিতে কৃষকের নিকট ১১ লাক্ষ ২০ হাজার টাকায় মেশিন বিক্রি করছে। দেবীগঞ্জের কৃষক শাহজাহান এসিআই কোম্পানির নিকট থেকে এবার ৪ লাক্ষ টাকা দিয়ে ধান কর্তনের মেশিন ক্রয় করে ভালো সাফল্য পেয়েছে।

এ উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে কৃষিতে যান্ত্রিÍকরণের লক্ষ্যে মাঠ প্রর্দশনী ও আলোচনা সভা দেবীগঞ্জের তিস্তার পাড় এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ ও এসিআই মোটরস যৌথভাবে এর আয়োজন করে। উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল বারী প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। আরো বক্তব্য রাখেন কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কাদের, এসিআই কোম্পানির রংপুর জোনের জোন প্রধান নাসির উদ্দীন সোহেল । শতাধিক কৃষক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।