পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়: ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার

ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে একজন পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবে না এবং সামরিক বাহিনী ও পুলিশ ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা থাকবে না, এমন ১৪টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে ঐক্যফ্রন্ট প্রধান ড. কামাল হোসেন এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।

এছাড়া ইশতেহারে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়াও দুই মেয়াদের পর প্রেসিডেন্ট পদেও কেউ আর বহাল হতে পারবে না।

গণতন্ত্র নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের ইশতেহারে বলছে, তারা দেশে আর একদলীয় শাসন ফিরতে দিতে চায় না।

ইশতেহার ঘোষণায় ড. কামাল বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য গঠন তাদের প্রকৃত লক্ষ্য, কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়।

এছাড়া ইশতেহারে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ ছাড়া সরকারি চাকরির জন্য কোনো বয়স সীমা থাকবে না বলে জানান তিনি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়, সরকার গঠন করতে পারলে তারা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনও বাতিল করবে।

ঐক্যফ্রন্ট আরও প্রুতিশ্রুতি দেয় যে, বর্তমান সরকারের আমলে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে সেটি তারা অব্যাহত রাখবেন এবং যেই দুর্নীতিবাজ হোক তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।

ড. কামাল ইশতেহার ঘোষণায় আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অভিন্ন নদীর যেমন তিস্তার পানি ভাগাভাগি এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ আলোচনার মাধ্যমে সকল দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

সরকার গঠন করতে পারলে সংখ্যালঘুদের দমন-পীড়ন প্রতিরোধ বিষয়ক একটি মন্ত্রণায় গঠন করারও প্রতিশ্রুতি দেয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের ইশতেহারে।

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহবাহয় মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ। তথ্যসূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ