আবারো পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে আগামী ১৫ মে থেকে সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু হবে। স্বরাষ্ট্র, বন ও পরিবেশ, সড়ক ও সেতু পরিবহন, নৌপরিবহন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহায়তায় এই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হবে।
আজ রোববার,৭ মে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন সেক্টরের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও নেতাদের এক সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরও ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ-পরিবহনে প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার হচ্ছে। সব পণ্যের ক্ষেত্রে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না- তা মনিটরিং এর জন্য আবারও সারাদেশে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের এ আইন সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আগের মতো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও মনিটরিংয়ের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পণ্যের মোড়কে স্বাস্থ্যহানিকর পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগ বর্জন করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বর্তমানে দেশে পাট ও বস্ত্রের সংমিশ্রণে উন্নতমানের শার্ট ও প্যান্টপিচসহ জিন্সকাপড়ের উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহেই আবার সোনালী আঁশের সুদিন ফেরাতে কাজ হচ্ছে। আমরা পাটের বহুমুখী ব্যবহার ফিরিয়ে আনবো; এতে চাষীরা পাট উৎপাদনে আগ্রহী হবে।
সভায় আরও জানানো হয়েছে, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এ নির্ধারিত ১৭টি পণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সড়কপথ, জলপথ, স্থলবন্দর, মালামাল পরিবহনকারী যানবাহন, উৎপাদনকারী, প্যাকেটজাতকারী, আমদানিকারক-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। আগামী ১৫ মে থেকে এ অভিযান শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে এক সপ্তাহ অভিযান চলবে। এরপর নিয়মিতভাবে অভিযান চালানো হবে।
এতে জানানো হয়েছে, আইনটি বাস্তবায়ন হলে প্রতি বছর ১০০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হবে। স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, পাট চাষীর পাটের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে এবং পাটের উৎপাদন বাড়ানোসহ পাটের শিল্প ও পরিবেশ রক্ষা পাবে।
সমন্বয় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত (অতিরিক্ত সচিব) কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ড.মো. মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। এছাড়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওর্নাস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, ট্রাক এজেন্সি সমিতি, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/৭ মে,২০১৭