পাঁচ নারী পেল ‘জয়িতা’ পুরস্কার ‘নারীরা জেগেছে, কেউ দমাতে পারবে না’

নারীরা আজ জেগেছে, কেউ আর দমাতে পারবে না- তারা এগিয়ে যাবেই। দেশের উন্নয়নে নারী-পুরুষ সবাইকে এক যোগে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘নারী পুরুষের সমতায় উন্নয়নের যাত্রা, বদলে যাবে বিশ্ব, কর্মে নতুন মাত্রা’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে নারী দিবস উপলক্ষে বুধবার (৮ মার্চ) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।নারী উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য অনুষ্ঠানে ৫ নারীকে ‘জয়িতা’ সম্মামনা দেওয়া হয়।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম। প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেবেকা মমিন ও গেস্ট অব অনার ছিলেন ইউএন উইমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ক্রিটিন হান্টার। বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহিন আহমেদ চৌধুরী।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, নারীরা আজ জেগে উঠেছে। কেউ তাদের দমন করতে পারবে না। তারা এগিয়ে যাবেই। তিনি বলেন, আমাদের রাস্তা পরিস্কার। আমরা দেখিয়ে দিতে পারি আমরাও পারি।

বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৮ বছরের আগে মেয়েদের এবং ২১ বছরের আগে ছেলেদের বিয়ে দেয়া যাবে না। এ আইন অমান্যকারীদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এতে করে আগামী দু’বছরের মধ্যেই দেশে বাল্য বিবাহ অর্ধেকে নেমে আসবে। তিনি বলেন, নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ মডেল। এ উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহতভাবে এগিয়ে চলছে।

রেবেকা মমিন বলেন, নানা প্রতিকুলতার পার হয়ে আজ নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে তারা সমুজ্জল। আরও এগিয়ে যেতে নারী ও পুরুষের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

নাসিমা বেগম বলেন, নারীদের ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ধানমন্ডিতে এক বিঘা জমি কেনা হয়েছে। সেখানে জয়িতা টাওয়ার করা হবে।

‘জয়িতা’ সম্মামনা দেওয়া হলো পাঁচ নারীকে :

অনুষ্ঠানে পাঁচজন নারীকে ‘জয়িতা’ সম্মাননা দেয়া হয়েছে। স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রত্যেককে ক্রেস্ট, সনদ, ফুল ও ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করায় শৈলি মেশৈ প্রু, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে হোসনে আরা, সফল জননী হিসাবে ফিরোজা বেগম, নির্যাতন জয় করায় মর্জিনা বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে আরিফা ইয়াসমিন ময়ুরীকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

সুত্র: দ্য রিপোর্ট