পাসপোর্ট জব্দের আদেশের পরও পি কে হালদার কিভাবে বিদেশে গেলেন: হাইকোর্ট

পাসপোর্ট জব্দ থাকার আদেশের পরও প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার কিভাবে বিদেশে গেলেন তা সংশ্লিষ্টদের প্রতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পি কে হালদারের মামলার সর্বশেষ অগ্রগতিও জানাতে চেয়েছেন আদালত। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত একটি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

পি কে হালদার যেদিন দেশত্যাগ করেন সেদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়িত্বে কে ছিলেন তার তালিকা দাখিল করতে বলেছেন আদালত। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলো এ হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় আজ এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকার বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা ১৫ মার্চেও মধ্যে জানতে চেয়েছেন আদালত আজ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০১০ সাল থেকে কর্মরত ৩৯৪ জন কর্মকর্তার তালিকা এ আদালতের আদেশে দাখিল করা হয়।

উল্লেখ্য- হাজার কোটি টাকা পাচার ও লোপাটের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান পি কে হালদার। এক পর্যায়ে তিনি দুবাই থেকে দেশে আসবেন আদালতকে এ তথ্য জানালেও আর ফেরেননি। একপর্যায়ে হাইকোর্ট পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও গ্রেফতারের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে আদেশ দেন। ৮ জানুয়ারি ইন্টারপোল পলাতক পিকে হালদারকে গ্রেফতারে রেড এলার্ট জারি করে।

অন্যদিকে হাইকোর্ট এক আদেশে পিকে হালদারের মা-সহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারীরা পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদারসহ ২৫ জনের বিষয়ে আবেদন করেন। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান