পিরোজপুরে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে সুপেয় পানির সুব্যবস্থা করা হচ্ছে

উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরবাসীর সুপেয় পানির সু-বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে ৩০ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। গত ১০ বছরে এ জেলায় সুপেয় পানির সুবিধা গ্রহণকারীর সংখ্যা ৫০ থেকে ৭৫-এ উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। শতভাগ সুপেয় পানির সুবন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

জেলার নাজিরপুরে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের আওতায় ২৮৬টি গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ চলছে। ২ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে উপজেলার ১৫ সহস্রাধিক মানুষ সুপেয় পানি পেয়ে উপকৃত হবে। এছাড়া একই উপজেলায় ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৭টি আর.ও প্লান্ট বসানো হচ্ছে। প্রতিটি আর.ও প্লান্ট থেকে সহস্রাধিক মানুষ বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারবে। প্রতি লিটার পানির জন্য ব্যয় করতে হবে মাত্র ৫০ পয়সা। এছাড়া নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪টি উন্নত মানের ওয়াস ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেলা পরিষদের ৬টি পুকুর পুনঃ খনন করে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করছে।

এ পুকুরগুলো হচ্ছে নাজিরপুরে-১টি, পিরোজপুরে-২টি এবং নেছারাবাদে ৩টি। পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৮টি গভীর নলকূপ ও ৬৪টি ওয়াস ব্লকে ব্যয় করা হচ্ছে ৪৮ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। জেলার নেছারাবাদ উপজেলায় ১১৩টি গভীর নলকূপ বসাতে ব্যয় করা হচ্ছে ৮৫ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। জেলার সাগরের কাছের উপজেলা মঠবাড়িয়ায় ২১টি পুকুর পুনঃ খনন এ ব্যয় করা হচ্ছে ৩ কোটি টাকা। ভান্ডারিয়ায় ৯০০ গভীর নলকূপ ও ২০টি আর.ও প্লান্ট, ইন্দুরকানীতে ৪টি পুকুর পুনঃ খননে ব্যয় করা হচ্ছে মোট ১৮ কোটি টাকা। এছাড়া ভান্ডারিয়ায় ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়াস ব্লকে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। এছাড়া মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানীতে আর.ডব্লিউ.এইচ ৪১০টি, গভীর নলকূপ ৪০টি এবং ওয়াস ব্লক ১০টিতে ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে শুরু হওয়া এসব প্রকল্প ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সমাপ্ত হবে বলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের একটি সূত্র বাসসকে জানান। এদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মহসিনুজ্জামান খান জানান, পিরোজপুরের এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে দুর্গম এলাকার বাসিন্দারাও সুপেয় পানির সুবিধা পাবে। লবনাক্ততা ও আর্সেনিক এবং আয়রণ নিরসনে আর.ও প্লান্টগুলো খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে। নাজিরপুর উপজেলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাস্টার অমূল্য রঞ্জন হালদার জানান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি এর নির্বাচনী এলাকায় সুপেয় পানির সুবন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, এর ফলে এলাকার মানুষ সুপেয় পানির সুবিধা ভোগ করবে। তথ্য:বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান