পুলিশ সুপারের আহ্বানে ফেসগার্ড তৈরি করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা

স্বেচ্ছাশ্রমে কুষ্টিয়া পুলিশকে ফেসগার্ড বানিয়ে দিলেন সাধারণ ছুটিতে বাড়িতে অবস্থান করা কুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
বুধবার সকালে তৈরিকৃত এসব ফেসগার্ড পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফেসগার্ডগুলো চিকিৎসক ও পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে জানান পুলিশ
সুপার এসএম তানভীর আরাফাত।

করোনার এই মহামারির সময় জেলা পুলিশের সদস্যরা রাতদিন বাইরে কাজ করছেন। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত ফেসগার্ড তৈরি করার উদ্যোগ নেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ছুটিতে বাড়িতে অবস্থান করা কয়েকজন কুয়েট শিক্ষার্থী সেচ্ছাশ্রমে ফেসগার্ড তৈরি করে দেন।

জানা গেছে, দেশে করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর থেকেই কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত চিকিৎসকদের মাঝে পিপিই, মাস্ক, ও হ্যান্ড গ্লাভস
বিতরণ করে আসছেন। পুলিশের লোক হয়েও চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় নিজ উদ্যোগে দুই দফায় প্রায় ১ হাজার পিপিই, বিপুল পরিমান মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করেন।

গত সপ্তাহে ফেসগার্ড তৈরির জন্য মালামাল ক্রয়ের নির্দেশনা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমানকে। কুষ্টিয়া পুলিশ ফেসগার্ড তৈরি করবে এমন সংবাদ পেয়ে এ দুর্যোগে ছুটিতে বাড়িতে অবস্থান করা কুয়েট শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের বনি আমিন সিদ্দিকীকের ছেলে আসিফ সিদ্দিকী এগুলো তৈরির
বিষয়ে আগ্রহ দেখান। পরে পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে তার আগ্রহের কথা জানালে মালামাল সরবরাহ করা হয়। কয়েকদিনের প্রচেষ্টায় তিনি তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে তৈরি করে ফেলেন ফেসগার্ড। বুধবার সকালে এসব ফেসগার্ড হস্তান্তর করেন আসিফ।

কুয়েট শিক্ষার্থী আফিস সিদ্দিকী বলেন,‘ ছুটিতে বাড়িতে বসে ছিলাম। করোনা মহামারি দেখা দেয়ায় কুয়েটের শিক্ষার্থীরা সেচচ্ছাশ্রমে বিভিন্ন কাজ করছে। আমরাও সেচ্ছাশ্রমে কুষ্টিয়া পুলিশের জন্য ফেসগার্ড তৈরি করে দিয়েছি। শিক্ষার্থী হিসেবে দেশের এ দুর্যোগে ভালো কাজের সাথে থাকতে পেরে ভালো লাগছে।’ খুব কম সময়ে অল্প খরচে এ ফেসগার্ড তৈরি করা যায় বলেও জানান তিনি।

পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘কুয়েট শিক্ষার্থীরা যে ফেসগার্ড তৈরি করেছে তার বেশির ভাগই জেলার চিকিৎসকদের দেয়া হবে। আর কিছু পুলিশের
কুইক রেসপন্স টিমের সদস্য যারা আছেন তাদের দেয়া হবে। প্রয়োজনে আরো ফেসগার্ড তৈরি করা হবে। এখন প্রত্যেকের সুরক্ষার বিষয়টি আগে দেখা হচ্ছে। পুলিশের একজন সদস্য হিসেবে জেলার চিকিৎসকদের জন্য যতদুর পারি সহযোগিতা করে যাব।’