প্রধানমন্ত্রীর কর্মপন্থায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে হবে : পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মানুষের জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করার কর্মপন্থা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রীর নির্দেশিত কর্মপন্থাকে অনুসরণ করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আমাদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল সোমবার রাত ১১টায় নাটোর জেলার ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে এ সংক্রান্ত জেলা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে রাত দেড়টা পর্যন্ত সভার আলোচনা শেষে আগামীকাল ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত নাটোর পৌরসভা ও সিংড়া পৌরসভা এলাকায় কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। লকডাউন সময়ে ওষুধ ও পণ্য ছাড়া জনসাধারণের চলাচলে কঠোরভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সপ্তাহ শেষে লকডাউন বর্ধিত করা হবে অথবা প্রত্যাহার করা হবে।
অনলাইন সভার আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি, সংসদ সদস্য মোঃ শহীদুল ইসলাম বকুল, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম সামিরুল ইসলাম, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ পরিতোষ কুমার রায় প্রমুখ।
সভায় প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাসের ভারতীয় ধরণ সংক্রমণের বিস্তারকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এখন দ্রুত সংক্রমণ ঘটছে। এমনকি শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বিশ্বের যেসব দেশ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে উদাসীন থেকেছে, দায়িত্বহীন ভূমিকা পালক করেছে, সেসব দেশই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
পলক বলেন, হাসপাতালে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন নিশ্চিত করতে হবে। যারা পজিটিভ হয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন, তাদের জন্যে চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান, প্রয়োজনে বাড়িতে ওষুধ ও খাবার পৌঁছে দিতে হবে। কর্মহীন অসহায় মানুষের জন্যে সরকার প্রয়োজনীয় ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছে। এসব মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেবে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। খাদ্য সংকটে থাকা যে কোন ব্যক্তি কল সেন্টার ৩৩৩ এ ফোন করলে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। জীবিকার জন্যে জীবনকে সংকটে ফেলা যাবে না। জীবিকা হারানো অসহায় সব মানুষের পাশে সরকার সবসময় থাকবে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।