প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনকে শুভঙ্করের ফাঁকি বললেন রিজভী

প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এটি একটি শুভঙ্করের ফাঁকি। যদিও এ আইন আদৌ সংসদে পাস হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা।

মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনে দুর্বৃত্ত ও গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, তড়িঘড়ি করে মন্ত্রিসভায় সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যদিও এ আইন আদৌ সংসদে পাস হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা। এ আইন নিরাপদ সড়কের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ আইন গণপরিবহনে নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আসবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তারা নির্দ্বিধায় মাসুম স্কুলপড়ুয়াদের ওপর আঘাত করতে ছাড়ছে না। তাদের হামলায় রক্তাক্ত ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসা পর্যন্ত করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। হাসপাতালেও হামলা করা হয়েছে এবং ডাক্তারদের চিকিৎসা না দিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে।’

বিএনপির তিন নেতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে উসকানির অভিযোগে মামলার বিষয়ে রিজভী বলেন, সরকার উসকানির কথা বলে মামলা দিয়েছে বিএনপির মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের নামে। বিএনপি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে। সমর্থন দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সরকারের ভুল ধরিয়ে দিয়েছে। আপনারা তাদের সাধুবাদ জানালেন যদি উসকানির পর্যায়ের না পড়ে, তাহলে বিএনপি কোথায় উসকানি দিল? কিন্তু মামলা দেওয়া হলো বিএনপি নেতাদের নামে।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের সমালোচনা করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির এ ব্যবস্থাপনা পরিচালককে গত রোববার রাতে তাঁর ধানমণ্ডির বাসা থেকে অপহরণ করে কয়েক ঘণ্টা গুম রাখার পর গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের নামে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

রিজভী বলেন, এ ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের হাতে এখন আর কেউ নিরাপদ নয়। লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, ছাত্র, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, নারী কিংবা শিশু কেউ নিরাপদ নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই।

আজকের বাজার/এমএইচ