প্রিয়ভাষিণীর জন্য ইউটিউব-ফেসবুকে মাতম

মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী মারা যাওয়ায় সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুক-ইউটিউবে ঝড় উঠেছে।  মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতাল থেকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অনেকে।

এর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় শোক প্রকাশ করতে থাকেন অনেক শ্রেণী-পেশার মানুষ। সাধারণ সব ব্যবহারকারীরাও শোক  প্রকাশ করেন ফেইসবুকের মাধ্যমে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন লিখেছেন, আপনার জীবন উদযাপন করি প্রিয় প্রিয়ভাষিণী।

আইয়ুব আল আমিন নামের একজন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, মা, তুমি আর নেই!

শরিফুল হাসান লিখেছেন, ৭১ বছর বয়সে আজ মারা গেলেন ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। আপা আপনাকে সশ্রদ্ধ সালাম। স্বান্ত্বনা এই যে মৃত্যুর আগেই আমরা আপনাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক ও মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দিতে পেরেছি। যতোদিন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র থাকবে আপনাদের নামও থাকবে। ভালো থাকুন পরপারে।

লীনা পারভিন প্রিয়ভাষিণীর একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, একটি জ্বলন্ত বাংলাদেশ যার কপালে। এই বাংলাদেশ আর ফিরে পাবো কি কোথাও?

মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষ্কর ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী চলে গেলেন না ফেরার দেশে। গভীর শ্রদ্ধা, ওপারে ভালো থাকুন, লিখেছেন আতাউর রহমান শরিফ।

১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন। স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। এর আগে ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।

এমআর/