ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে নতুন করে ৫৪৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়ালো

ফ্রান্স সোমবার জানিয়েছে, দেশটিতে করোনা ভাইরাসে নতুন করে আরো ৫৪৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় সেখানে বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে, দেশটিতে এ মহামারি ভাইরাসের স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাব্য লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। খবর এএফপি’র।
ফ্রান্সের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জারোম সালোমন সংবাদিকদের বলেন, ‘আজ রাতে আমাদের দেশ প্রতীকী ও বিশেষভাবে পীড়াদায়ক একটি বাধা অতিক্রম করেছে।’
তিনি বলেন, ফ্রান্সের মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হাজার ২৬৫ জনে দাঁড়ালেও আশার কথা হচ্ছে হাসপাতাল ও আইসিইউতে নতুন করে মৃতের সংখ্যা কমেছে।
সালোমন বলেন, সাম্প্রতিককালে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ ফ্লু মহামারিতে প্রায় ১৪ হাজার এবং ২০০৩ সালে তাপদাহে ১৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। তবে, বর্তমানে দেশটিতে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে প্রাণ হারানো মানুষের এ সংখ্যা আগের দুই সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।
সালোমন জানান, ২০ হাজার ২৬৫ জনের মধ্যে ১২ হাজার ৫১৩ জন বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ৭ হাজার ৭৫২ জন বিভিন্ন বৃদ্ধনিবাস ও অন্যান্য নার্সিং হোমে মারা যায়।
কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে থাকা করোনা রোগীর সংখ্যা ১২ দিনের মধ্যে ৬১ জন কমে এখন ৫ হাজার ৮৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আইসিইউতে করোনা রোগীর সংখ্যা হ্রাসের হার অনেক কম হলেও তা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে পর পর ৬ দিনের মতো হাসপাতালে ভর্তি মোট রোগীর সংখ্যা ২৬ জন কমে এখন ৩০ হাজার ৫৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
ফ্রান্সে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে গত ১৭ মার্চ লকডাউন পালন করছে। তবে, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত সপ্তাহে ঘোষণা দেন, আগামী ১১ মে থেকে লকডাউন শিথিল করা শুরু হতে পারে।
ফ্রান্সের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে ফের খুলে দেয়া হতে পারে। তবে ক্যাফে, সিনেমা হল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস্থল বন্ধ থাকবে। দেশটিতে মধ্য জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন কোন উৎসব করা যাবে না।