বগুড়ায় ফুলকপির ভালো দাম পেয়ে কৃষক খুশি

জেলায় উচ্চ ফলনশীল ফুলকপি উৎপাদন করে এবার কৃষক আশানুরুপ দাম পাওয়ায় খুশি। আগাম কপিতে তারা বেশি লাভবান হয়েছে। মৌসুমের শেষেরদিকে কপির দাম একটু কমেছে। কিন্তু কৃষকরা এক জমিতে ৩বার কপির চাষ করায় তিন দফার মধ্যে প্রথম দুই দফায় কপি বিক্রি করে লাভবান বেশি হয়েছেন।

কৃষি কর্মকর্তার জানান, এবাবর আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় কপিসহ সকল সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।কৃষকরা একই জমিতে তিনবার কপিচাষ করেছে। কপি উৎপাদনের শুরু থেকে ভালো দাম পেয়ে খুশি। এখন দেশে সর্বত্র হাইব্রিড কপির চাষ হওযায় ফলনও বেড়েছে। এক একটি কপির ওজন এক থেকে দেড় কেজি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন জানান ,বগুড়ায় এবার ২০৫০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও বাঁধা কপির চাষ হয়েছে। এরমধ্যে ১১ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ৯৫০ হেক্টর জমিতে বাঁধা কপির চাষ হয়েছে। একই জমিতে তিন দফায় কপি চাষ হওয়ায় তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হয়নি। মৌসুমের প্রথম দিকে ফুলকপি খুচরা বিক্রি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। এর পর দ্বিতীয় দফায় কপি উৎপাদন হওয়া কপি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এর পর তৃতীয় ও শেষ দফায় ফুলকপির চাহিদা কমে আসায় এখন এখন বড় আকারের কপি রাস্তায় রাস্তায় ৩টি ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে কপি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি। পাইকাির বাজারের ৫ টাকা কেজি। কৃষি কর্মকর্তারা ফরিদ উদ্দিন আরো জানান,এক একটি কপি উৎপাদনে কৃষকের খরচ পড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। তিনি জানান এখন আর বগুড়াসহ সারা দেশে দেশী জাতের কপি উৎপাদন হয় না। উচ্চ ফলশীল কপি উৎপাদন হচ্ছে জেলার সর্বত্র। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এটলাস ও নানা জাতের উচ্চ ফলনশীল কপি উৎপাদনকরে লাভবান হয়েছে। করোনাকে জয় করে সবজির বাম্পার ফলনে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন বগুড়াসহ দেশের সবজি চাষিরা। ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

সবজির মধ্যে ফুল কপি ও বাঁধা কপিতে ভরপুর বগুড়ার পাইকারি বাজার হিসাবে খ্যাত মহাস্থান হাট। দেশের দূর দুরান্ত থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবজি ট্রাক বোঝাই করে ছুটছে তাদের গন্তব্য স্থলে।

এবার সবজির মধ্যে ফুলকপি ও বাঁধা কপির বাম্পার ফলন হয়েছে বগুড়ায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শাহাদুজ্জামান জানান, শীত আসার পূর্বমূহূর্তে আগাম কপি চাষ করে ১০০টাকা কেজি দরে। এর পর মৌসুমের মধ্যবর্তী সময়ে এক বার এবং জানুয়ারি মাসে শেষ সময়ে আরো একবার কপি চাষ করা হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান ,বিঘা প্রতি কপি উৎপাদনে খরচ পড়ে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা। বিঘতে এ বছর কপি উৎপাদন হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ মণ।

জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষক মানিক জানান ,এবার আগাম ফুলকপি চাষ করে তা পাইকারি বিক্রি করেছেন ৪০ টাকা কেজি। আর একটি কপি উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে ৪ টাকা।সেই কপি শহরের খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। আগষ্ট মাসে মাসে কপির চারা রোপণ করে দুইমাসের মধ্যে আকারে ছোট হলেও কপির ফলন পেতে শুরু করে। নতুন সবজি কপির প্রতি ক্রেতাদর আগ্রহ বেশি থাকে। তখন বেশি দাম পাওয়া যায়। ফেব্রুয়ারিতে কপির উৎপাদন কমে আসে এবং চাহিদা কমে যায়। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান