বগুড়া কৃষকরা করোলা ও উচ্ছে চাষে লাভবান হচ্ছে

বগুড়ার সদর, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, গাবতলী উপজেলার সবজি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। সবজির মধ্যে করোলাও উচেছ ব্যাপক উৎপাদন হয়ে থাকে বগুড়া জেলায়। বগুড়া কৃষকরা করোলা ও উচ্ছে চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়ে থকে। বগুড়া সদরের শাখারিয়ার কৃষক সোহরাব হোসেন জানান মানুষ স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়ায় খাদ্যভ্যাসের পরিবর্তন করেছে। করোলানহ বাজারে বিভিন্ন সবজির চাহিদা বেড়েছে। করোলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা লাভবান হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপতরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন জানান বিঘা প্রতি করোলা উৎপাদনে খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

সেখানে বিঘা প্রতি করোলা ও উচ্ছে উৎপাদন হয়ে থকে ৬৫ থেকে৭৫ মণ। এখন আর তাদের জমিরফসল বিক্রি করতে হাটে যেতে হয়না। পাইকাররা ক্ষেতে এসে টাটকা সবজি কিনে নিয়ে যায়। এ সবজি ৩ হাত বদল হয়ে ভোক্তাদের কাছে পৌছায়। এ অঞ্চলে সব রকমে সবজি নিয়ে বিরাট কর্মযজ্ঞচলে।বগুড়ার মহাস্থান হাট ভরে ওঠে সবজিতে।

হাটে তারা ফসল তোলার শুরুতে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করে। উৎপাদন বেড়ে গেলে হাটে বাজারে যোগান বেড়ে গেলে দাম কমে আসে। থখন তারা পাইকারি বিক্রি করে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা কেজিতে নেমে আসে। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৪০ টাকা কেজি। করোলা ক্ষেত থেকে তোলার পর এক মাসের মধ্যে তারা উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে লাভের মুখ দেখে। সোহরাব হোসেন জানান, করোলা ও উচ্ছে উৎপাদনের গোবর সার, খৈইল, ইউলিয়ার, পটাশ ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এ জমিতে শীত কালীন ফসল আলু চাষ করতে তাদর বেশি সার প্রয়োগ করতে হয় না। করোলা চাষে যে সার প্রয়োগ করে তার সাথে সামান্য কিছু সার দিয়ে আলু উৎপাদন হয়ে যাযা। তাই আলু উৎপাদনে তারা আরো লাভবান হয়ে থাকে। আলু চাষে তাদের শুধু ছত্রাক নাশক ওষুধ প্রয়োগ করে।

জেলা কৃষি সম্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি অফিসার ফরিদ উদ্দিন জানান বছরের রবি ও খরিপ দুই মৌসুমে করোলা ও উচ্ছে উৎপাদন হয়ে থাকে। অঞ্চল ভেদে জমিতে ৬৫ থেকে ৭০ মণ করোলা পেয়ে থাকে কৃষক। করোলা উঠা শেষ হলে তারা এ জমিতে স্বল্প খরচে আলু উৎপাদন করে থাকে। তখন তাদের জমিতে বেশি সার দিতে হয় না। আলু চাষেও কৃষকরা লাভবান হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এবার বগুড়ায় ১১০০ হেক্টর জমিতে করোলা চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হলেও কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রর চেয়ে কুষক বেশি জমিতে করোলা উচ্ছে চাষ করে থাকে। এবার রবি মৌসুমে ৫৩৪ হেক্টর ও খরিপ মৌমুমে ৫৫৬ হেক্টর জমিতে করোলা চাসের লক্ষ্যমাত্র নিথ
নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। করোলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার মেট্রিক টন। তিনি আরও জানান, করোলার চেয়ে উচ্ছের দান বেশি। কারণ এর চাহিদা বেশি। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান